দেশজুড়ে
হাসপাতালে জুয়ার আসর, নির্বাক কর্তৃপক্ষ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের কর্মচারীদের আয়োজনে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই জুয়ার আসর। আর এতে তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সী মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ জুয়ার নেশায় হারাতে বসেছে সর্বস্ব।
জুয়া খেলায় হেরে গিয়ে অনেকেই সংসারে বিভিন্ন ধরনের অশান্তি করছে। নিয়মিত জুয়ার আসর চললেও রায়গঞ্জ থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে অভিযান চালাচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও রয়েছে নির্বাক। এ নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রায়গঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবত লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলছে। হাসপাতালের ফার্মাসিট নায়েব আলী ও এমএলএসএস এহিয়ার নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নামকরা জুয়াড়ীরা এসে নিরাপদ জায়গা মনে করে হাসপাতালের একটি কক্ষে জমজমাট জুয়ার আসর বসাচ্ছেন।
দীর্ঘ ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে নায়েব আলী ও এহিয়া হাসপাতালে কর্মরত থাকায় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাদের প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীরাও জিম্মি। ফলে হাসপাতালে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন ওই দুই কর্মচারী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জুয়ার আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অসহায় হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ হাসপাতালের স্টাফ নায়েব আলী ও এহিয়া নিয়মিত হাসপাতালে তাস খেলার কথা স্বীকার করলেও টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলার কথা অস্বীকার করেছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম মুফাখারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়মিত জুয়ার আসর বসে এটা আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রায়গঞ্জ থানা পুলিশের ওসি পঞ্চনন্দ সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।