করোনাস্বাস্থ্য

হাসপাতালে কমেছে প্রসব, বেড়েছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে প্রসবের হার নেমেছে অর্ধেকে। সিজারিয়ানের হার ব্যাপকভাবে কমলেও বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু।

এছাড়াও মা ও শিশু শিকার হচ্ছেন নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদী জটিলতার। সমস্যা সমাধানে প্রসবকালীন প্রসূতি মায়েদের অন্তত ৩ বার সেবা কেন্দ্রে আসার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে বড় হাসপাতাল পর্যন্ত সবখানেই কমেছে প্রসব। অন্যদিকে ব্যাপকভাবে বেড়েছে বাসায় প্রসবের সংখ্যা।

কেবল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক মাসে প্রসব হয়েছে ৮৭৫টি, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিমাসে যা গড়ে ছিল দেড় হাজার। বাসা বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীর হাতে প্রসব বাড়ায় প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণসহ নানা জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন মায়েরা।

অধ্যাপক ডা. নিলুফা সুলতানা বলেন, প্রচণ্ড খিঁচুনি নিয়ে রোগী আসছেন। কোনো কোনো রোগীদের জরায়ু জড়িয়ে নিয়ে আসছে।

আগের মতো হাসপাতালে প্রসবের হার বাড়ানো না গেলে মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যু হার বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক ডা. সায়েদা আক্তার বলেন, হোম ডেলিভারি বেড়ে গেলে অবশ্যই মাতৃ মৃত্যু বাড়বে। শিশুমৃত্যুও বাড়বে। দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

সমস্যা সমাধানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রসূতি সেবা কেন্দ্রগুলোকে সচল রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।

ডা. মোহাম্মদ শরীফ বলেন, টেকনিক্যাল লোক থেকে শুরু করে যারা আছেন তাদের বলেছি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে। মাঠ কর্মীরা মাঠের কাজ করছে।

করোনার কারণে স্বপ্রণোদিত এবং অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধ হলেও যার প্রয়োজন তিনিও বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকাংশে। তবে সুস্থ সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার পরও প্রসূতি মাকে অন্তত ৩ বার হাসপাতালে আসার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close