দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

হার্ড ইমিউনিটি’র কৌশল নিচ্ছে বাংলাদেশ?

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশে জুনে আরও বাড়বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু হারও আশঙ্কাজনক হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক ও গবেষকরা। এ অবস্থায় ছুটি প্রত্যাহার ও গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্তে নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তাহলে কি সরকার হার্ড ইমিউনিটির (Herd Immunity) কৌশলের দিকে এগুোচ্ছে? করোনার টিকা আবিষ্কার না হওয়ায় এমন কৌশল ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার পরামর্শ তাদের।

ইতিমধ্যেই দেশে শনাক্ত হয়েছে ৪২ হাজারের বেশি আক্রান্ত। এর মাঝেই, প্রত্যাহার হয়েছে সাধারণ ছুটি। সীমিত আকারে খুলছে গণপরিবহণও। এ অবস্থায় সামনে সংক্রমণ কতটা ছড়াবে?

করোনা সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ খান জানান, ব্যাপকভাবে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসছে, কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছে, ঈদে বাড়ি গিয়েছে আবার ফেরত আসছে। এর ফলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া) সদস্য অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল মনে করেন, সবকিছু খুলে দেয়া মানেই বাংলাদেশ থেকে করোনা চলে যাচ্ছে বিষয়টা এমন নয়। আমরা আরও ঝুঁকির দিকে এগুচ্ছি।

বিএসএমএমইউ’র ভাইরোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, একটা জনগোষ্ঠি যাদের বয়স ষাটের বেশি তাদের মধ্যে মৃত্যুহার বেশি দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশেও এমন মৃত্যুহার দেখা যেতে পারে।

সংক্রমণের এমন বাস্তবতায় সরকার কি হার্ড ইমিউনিটির পথে হাটছে? যেখানে জনগোষ্ঠীর বড় অংশ আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কমবে সংক্রমণ। ভ্যাকসিন না আসায় এই পদ্ধতি ভয়াবহ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ খান এ প্রসঙ্গে বলেন, হার্ড ইমিউনিটি বলতে আমরা বুঝি প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়ে এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হওয়া। সেক্ষেত্রে ১৬ কোটি দেশের মানুষের মধ্যে ১১ কোটি মানুষ আক্রান্ত হওয়া এবং তাদের মধ্যে ১ শতাংশ মৃত্যুর হার ধরলে প্রায় ১১ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বো আমরা।

একই মত অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সীরও। বললেন, ৮০ শতাংশ লোক যদি আক্রান্ত হয় তাহলে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়া এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চাপ এবং মৃত্যু- একটি অবর্ণনীয় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এটা আমরা কোনোভাবেই আশা করি না।

অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের মতে, হার্ড ইমিউনিটির পথে যারা এগিয়েছিল তারা কিন্তু কঠিনভাবে মূল্য দিয়েছে। এটা খুব কার্যকর কোনো পন্থা নয়।

হার্ড ইমিউনিটির সংকট এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষাই করোনা মোকাবেলায় বড় ঢাল বলে মনে করেন এই চিকিৎসক ও গবেষকরা। তাদের মতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু যেহেতু করতেই হবে সেখানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলা উচিত। জনবল ব্যবস্থাপনার বিষয়টির দিকেও নজর দেয়ার তাগিদ তাদের।

তারা মনে করেন সংক্রমণ প্রতিরোধে টেস্ট বাড়াতে হবে। যতবেশি শনাক্ত হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Find en kylling Find den mest intelligente: Løs en bilopgave på Ingen rust og ingen afskalning: En En puslespil for dem Alle ser nødder, Hvorfor gør en hund uden grund: Kun få kan finde en krabbe Alle ser en Hvordan du holder dit køleskab En næsten umulig opgave for de mest Find en vase blandt Disse 5 olietyper bør undgås til stegning: Her er hvorfor Vanvittig udfordring for genier: find 6 skjulte Alle ser vaskebjørne, og du skal Uhyggelig optisk illusion: Kun få 7 apparater
Close
Close