⤖끞귆ᩲ筲ꤗ鎆㳇槸稼ṩ䞚鄾쿱飮㹏麆멬廊흲㪝康ꦭꍥ帇₟鿞暢鞥拱樌⇗ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তই বানিয়েছে বিশ্বের সেরা ধনী: জেফ বেজোস | ঢাকা অর্থনীতি
বিশেষ প্রতিবেদন

ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তই বানিয়েছে বিশ্বের সেরা ধনী: জেফ বেজোস

মোঃ রোকনুজ্জামান মনি : “সেরা ধনীদের তালিকা” লিখে অনলাইনে সার্চ দিলে যে নামটি প্রথমেই চলে আসে , সে হলো বিশ্বের সেরা অনলাইন শপ আমাজন ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং ওয়াশিংটন পোস্টের বর্তমান মালিক জেফ বেজোস।

আজকের জেফ বেজোস  ছোটবেলা থেকেই নিজের বুদ্ধির দ্যুতি ছড়াতে থাকে। স্কুলে পড়া অবস্থায় সর্বোচ্চ নম্বর অতিক্রম করে নতুন রেকর্ড তৈরী করেন। প্রথম ব্যবসার শুরুও এ হাইস্কুল থেকেই। ড্রিম ইন্সটিটিউট নামে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি একটি শিক্ষামূলক ক্যাম্প শুরু করেছিলেন।

১৯৮৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে ওয়াল স্ট্রিটের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ফিন্যান্সে একটি দারুণ ক্যারিয়ার গড়ে তোলার পরও তিনি ই-কমার্সে বিনিয়োগের ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৪ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে  অনিশ্চিত এক ভবিষ্যত  ইন্টারনেট মার্কেটিং জগতে পা দেন। খুলে ফেলেন একটি অনলাইন বুক শপ ।

একে ভাল একটা চাকুরী ছেড়ে বেকার, তাতে আবার অনলাইন ভিত্তিক নতুন আইডিয়া। তখনো মানুষের ভাল ধারণা নেই অনলাইন ভিত্তিক বাজারের প্রতি। কি হবে আগামীতে ,সবই ছিলো অজানা।   কিন্তু এখন পিছু হটার সুযোগও শেষ। এভাবে  নানা দোটানার মধ্যেই বেজোস গ্যারেজে কয়েকজন কর্মী নিয়ে তার নতুন কোম্পানির জন্য সফটওয়্যার তৈরির কাজ শুরু করেন। চালু করেন পরীক্ষামূলক ওয়েবসাইট। ১৯৯৫ সালের ১৬ জুলাই ৩০০ বন্ধুকে বেটা টেস্টিংয়ের জন্য ডেকে সাইট উদ্বোধন করেন । সাইটের নামও  দেয়া হয় দক্ষিণ আমেরিকার নদী আমাজনের নামে আমাজন ডট কম।

তবে নানা জল্পনা কল্পনার প্রহর কাটিয়ে এইবার ভাগ্য বুঝি সহায় হলো, তিনি যা আশা করেছিলেন, কোম্পানির প্রাথমিক সাফল্য তার চেয়ে অনেক ভালো ছিল। পত্রপত্রিকায় কোনো রকম বিজ্ঞাপন দেয়া ছাড়াই প্রথম ৩০ দিনেই আমাজন আমেরিকাসহ আরও ৪৫টি দেশে বই বিক্রি করে ফেলে। দুই মাসের মধ্যেই আমাজনের সাপ্তাহিক বিক্রি ২০,০০০ ডলারে পৌঁছায়। দু’বছরের মধ্যেই আমাজন সব প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ই-কমার্সের এক নম্বর সাইট হয়ে দাঁড়ায়।

১৯৯৮ সালে বেজোস তার প্রতিষ্ঠানের সেবা শুধু বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে সিডি ও ভিডিও টেপ বিক্রি শুরু করলেন। তারপর বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তির মধ্য দিয়ে একে একে পোশাক, ইলেক্ট্রনিক্স, খেলনা ও অন্যান্য পণ্যও যোগ হয়।

এর পরে আর কখনো পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি জেফ বেজোসকে । ২০১৮-এর জানুয়ারিতে ব্লমবার্গের হিসাব মতে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই সাথে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সেরা ধনীদের একজন তিনি।

আরজে/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close