খেলাধুলা
হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম দু’ম্যাচ জিতেছে দু’দলই। এ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের পথ মসৃণ করার অভিন্ন লক্ষ্য অজি ও ইংলিশদের। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
অ্যাশেজ দু’দলের লড়াইকে নিয়ে গেছে ভিন্ন স্তরে। ঐতিহাসিক সে টেস্ট সিরিজ আবারও মাঠে গড়াবে ডিসেম্বরে। বারুদে টেস্ট সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
দু’দল সমান্তরাল অবস্থানে। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দরজা দৃষ্টিসীমায়। অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কাকে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। তবে সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটা এবারই। সে পরীক্ষা নিয়ে কি ভাবছে দু’দলের খেলোয়াড়রা?
অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বিশেষ কিছু। আমাদের সঙ্গে ওদের খেলার ধরনেও মিল আছে। গেল কয়েক বছর ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে সবচেয়ে ভালো ফর্মে আছে ইংল্যান্ড। এটা আমাদের জন্য বড় ম্যাচ। সেমিফাইনালের সমীকরণের জন্যও এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান জানান, ’আসরের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচগুলোর একটা হবে এটা। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দল। ওরা ছন্দে থাকলে জয় পাওয়া কঠিন হবে। তবে দ্রুত মোমেন্টাম আমাদের পক্ষে নিতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা বাড়বে।
বিগ ম্যাচের আগে শেষ মুহূর্তের পরিকল্পনা সাজিয়ে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব আসরে ৫ম বোলারের অভাবটা অজিরা টের পেয়েছে ২ ম্যাচেই। যদিও ইংলিশদের বিপক্ষে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই নামার সম্ভাবনা বেশি।
এদিকে ইনজুরি সমস্যা আছে ইংল্যান্ড দলে। মার্ক উড ও স্যাম কারানের মতো বোলাররা সাইডবেঞ্চে। যদিও তাদের ছাড়াই উড়ছে ইয়ন মরগ্যানের দল।
টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি ১৯ দেখায় ১০টিতে জিতেছে অজিদের। ৮ জয় আছে থ্রি লায়নদের। বিশ্বকাপে ২ দেখায় ১টি করে জয় আছে দু’দলের। তবে সবশেষ সাক্ষাতে ২০১০ আসরের ফাইনালে এই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড