দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

হাইকোর্টের নির্দেশনা সত্ত্বেও মুক্ত করা যাচ্ছে না সমুদ্র সৈকত

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অবৈধ স্থাপনা অপসারণে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। হকার পুনর্বাসনের নামে সৈকতের বালিয়াড়িতে গড়ে তোলা হয়েছে সহস্রাধিক ঝুপড়ি দোকান। যা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন খোদ ‘বিচ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র কতিপয় সদস্যসহ প্রভাবশালীরা। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছে সমুদ্র সৈকত। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ ব্যাপারে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট। এখানকার বালিয়াড়িতে গড়ে তোলা হয়েছে চার’শোর বেশি অবৈধ ঝুপড়ি দোকান। শুধু এই পয়েন্টেই নয়, অন্যান্য পয়েন্টেও একই অবস্থা। এসব ঝুপড়ি দোকানদারদের দাবি, বিচ ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছ থেকে বিশেষ কার্ড নিয়ে তারা সৈকতে ব্যবসা করছেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বরাদ্দ পাওয়ার কথা আমাদের, আমাদের কিছু না দিয়ে আরো হয়রানি করা হয়। আমরা চাই প্রশাসক আমাদের স্থায়ীভাবে একটা জায়গা দিয়ে আমাদের ব্যবসার ব্যবস্থা করে, আমাদের এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক।’

এ অবস্থায় সুশীল সমাজ ও পরিবেশবিদরা বলছেন, দ্রুত সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বিচ ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল না করলে আন্দোলনে নামবেন তারা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আগে উচ্ছেদ করা হোক পরে এখানে নতুন করে কেউ যেনো দখল করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটোকল শাখার দেয়া তথ্য মতে, সৈকতের সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে ঝিনুকের দোকান রয়েছে ৪শ ৬৬টি ও খাবারের দোকান রয়েছে ১শ ৪৭টি। ২৩৯টি স্টুডিওর নামে দুটি করে মোট ৪শ ৭৮টি ও ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফারের কার্ড ইস্যু করা হয়েছে ১শ ৮০টি।

সুগন্ধা পয়েন্টে ৫৪টি বিচ বাইক ও ২৫টি জেট-স্কি কার্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কিটকট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় দেড় হাজার। (সময়টিভি)

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close