আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
হত্যাচেষ্টা, মারধরসহ চুরির অভিযোগে জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গেল বছর থেকে এ পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আশুলিয়া থানায় মোট ৯টি মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: হত্যাচেষ্টা, মারধরসহ চুরির অভিযোগে গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এঘটনায় মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৪৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
সাভার উপজেলা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নাছির উদ্দীন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আশুলিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আশুলিয়ার বাঁশবাড়ি মৌজায় নাছির উদ্দিন ও তাঁর ভাই আবু বক্করের ১৬ শতাংশ জমি আছে। ওই জমিতে তাঁদের পিতা হাজি এফাজ উদ্দিনের নামে একটি মার্কেট রয়েছে। ওই মার্কেটে একটি হোটেলসহ ২০টি দোকান রয়েছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গত মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলা চালিয়ে হোটেলসহ ১৪টি দোকান ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ২টি এসি, ৩টি ফ্রিজ, ১টি এলইডি টেলিভিশন, ৯টি সিলিং ফ্যান, সাউন্ড সিস্টেম, স্বর্ণের চেইন ও নগদ অর্থ লুট করেন। এ ছাড়া ওই জমিতে গেলে জমির মালিকদের হত্যা করার হুমকি দেন আসামিরা। এজাহারে বলা হয়, হামলার সময় হোটেলের মালিক সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়। আসামিরা সাজ্জাদের গলা চিপে ধরে হত্যা চেষ্টা চালান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, নাছির উদ্দিন ‘বিশেষ সময়ে’ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমির অবস্থান পাথালিয়া মৌজায়। নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন জমির অবস্থান বাঁশবাড়ি মৌজায়।
হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক ও মিথ্যা। কারা হামলা করে মার্কেট ভেঙে দিয়েছে তা তাঁদের জানা নেই।
মামলার বাদী নাছির উদ্দিন বলেন, তিনি যেখানে মার্কেট নির্মাণ করেছেন ক্রয় সূত্রে তাঁরা দুই ভাই এর মালিক। মালিকানার সপক্ষে তাঁদের সব কাগজপত্র রয়েছে।
গেল বছর থেকে এ পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মোট ৯টি মামলা হয়েছে।