দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকতে মশক নিধন দলকে বাধা প্রদান
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মশক নিধন ও এডিস মশার লার্ভা নিধনে অভিযানরত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালতকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বারিধারার পার্ক রোডে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গেলে বাধার মুখে পড়ে মশক নিধন দল।
বারিধারা এলাকায় এডিস মশার লার্ভা নিধনে ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকালে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত দল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে এই দলে সার্বিক সহযোগিতা করেন স্থানীয় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল।
অভিযানের শুরুতে পার্ক রোডে তিনটি বাড়ি পরিদর্শনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ি এলে তাতে ঢুকতে চান ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু তাদের প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং কাউন্সিলর তাদের পরিচয় দিলেও প্রবেশে বাধা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ।
এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ ও অনুমতির জন্য সময় চান ফারুক।
প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষার পর ফারুক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেন। এরপর সেখান থেকে চলে আসেন মশক নিধনে যাওয়া কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাড়িতে নেই। তার অনুপস্থিতিতে আমি কাউকে প্রবেশ করতে দিতে পারি না। তার অনুমতি পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সম্ভব হয়নি। তাই প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসা টার্গেট করে যাইনি। পার্ক রোড এবং অ্যাম্বেসি রোডে অভিযান শুরু করি। অভিযান করতে করতেই মন্ত্রীর বাড়ি আমাদের সামনে আসে। আমরা প্রবেশ করতে চাইলেও পারিনি।
স্থানীয় কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল বলেন, বিষয়টা ভালো হলো না। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, পুলিশ ছিল, এমনকি আমি এখানকার কাউন্সিলরও ছিলাম। আমরা এখানকার স্থানীয়। তবু প্রবেশ করতে দিলো না। আমরা শুধু পরিবেশটা দেখতাম।
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের তরফ থেকে কোনো দিক-নির্দেশনা পাননি বলে জানান কাউন্সিলর বাবুল।