প্রধান শিরোনামব্যাংক-বীমাশিল্প-বানিজ্য
স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, নগদ লভ্যাংশ পাবেন বিনিয়োগকারী
ঢাকা অর্থনিতি ডেস্কঃ পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্যাংকগুলোর নগদ লভ্যাংশ বিতরণের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে ২০১৯ সালের ঘোষিত লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করতে পারবে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো।
রোববার (০৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিষয় বিবেচনা করে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে দাবি জানান।
রোববার এ বিষয়ে সাড়া দিয়ে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অধিকতর স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশে এ মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, শুধুমাত্র ব্যক্তিশ্রেণির (স্থানীয় ও বিদেশি) বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর্যুক্ত সার্কুলার এবং প্রচলিত অন্যান্য আইনের এ সংক্রান্ত বিধিবিধান পরিপালন সাপেক্ষে ২০১৯ সালের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখের আগে বিতরণ করা যাবে।
গত ১১ মে চলমান করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকে বার্ষিক লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ট) ঘোষণার নতুন নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলধন সংরক্ষণের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করা যাবে না।
ওই সার্কুলারে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে শীর্ষ চাপ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা করেছে; তা বাস্তবায়নে কার্যকর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিংখাতে সৃষ্ট চাপ মোকাবিলা করে ব্যাংকগুলো যাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে যথার্থ অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বণ্টন না করে মূলধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বাজার বজায় রাখা একান্ত অপরিহার্য।’
/এন এইচ