দেশজুড়ে
স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালাল স্বামী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ যৌতুকের জন্য নির্যাতনের পর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মারিয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, এ ঘটনার পর হাসপাতালে নিহত স্ত্রীর লাশ রেখেই অভিযুক্ত স্বামী মো. জামাল উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে। নিহত গৃহবধূ মারিয়া আক্তার উপজেলার চর রশিদ গ্রামের মৃত আবুল কালামের মেয়ে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে লাশের সুরুতহাল সম্পন্ন করে সুধারাম থানা পুলিশ। পরে একই দিন বিকালে নিহতের পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তরের পর পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, সাড়ে চার বছর আগে সুবর্ণচরের চরহাসান গ্রামের সফু তালুকদারের ছেলে জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের গ্রাম চর রশিদের মৃত আবুল কালামের মেয়ে মারিয়া আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক ও পারিবারিক নানা বিরোধের জেরে মারিয়াকে নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় মারিয়ার স্বামী জামাল উদ্দিন, তার শাশুড়ি, ননদ ও দেবর মিলে মঙ্গলবার রাতে মারধরের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রচার করে মারিয়া বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ খবর প্রচারের পর তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় হাসপাতালেই লাশ রেখে স্বামী ও তার স্বজনরা পালিয়ে যায়।
নিহতের স্বজনেরা আরও জানান, স্বামী ও শ্বশুরের পরিবারের নির্যাতনের কারণে এর আগেও নিহত মারিয়া থানায় দুইটি জিডি করেছে।
লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বাতেন জানান, নিহতের লাশের সুরুতহাল করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, যেহেতু হাসপাতালে মারা গেছে, মামলাও সেখানে হবে। এ সময় ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
/আরকে