দেশজুড়ে
স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মান্না-মৌসুমী-শাবনূরের সিনেমাকেও হার মানালো পিরোজপুরের আপন দুই বোনের একই স্বামীর সঙ্গে সংসারের ঘটনা। অবিশ্বাস্য হলেও এক বোনকে বিয়ের ৫ বছর পর আরেক বোনকে বিয়ে করেছেন নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া এলাকার ডেকোরেটর ব্যবসায়ী সুজিত গাইন। এমনকি সেই বিয়ে মেনে নিয়েছেন তার প্রথম স্ত্রীও। এখন একই স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করছেন আপন দুই বোন। এ ঘটনা এলাকা জন্ম দিয়েছে চাঞ্চল্যের।
রূপালী গাইনকে পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন সুজিত। সেই সংসারে আছে দুই সন্তান। ভালোভাবেই কেটে যাচ্ছিল জীবন। হঠাৎ ঘরে থাকা শ্যালিকা স্বর্ণালী গাইনকে পছন্দ হয় ভগ্নিপতির। সব শেষে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই শ্যালিকাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুললেন তিনি।
নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া এলাকার মাস্টার কেদারনাথ গাইনের ছেলে সুজিত শনিবার অন্যত্র গিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বর্ণালীর বাবা কালিপদ সিকদার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুজিত গাইন পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেন একই উপজেলার ঘোপেরখাল গ্রামের কালিপদ সিকদারের মেয়ে রূপালি গাইনকে। তাদের ঘরে একটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। সুজিতের বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতেন রূপালীর ছোট বোন স্বর্ণালী। এ সুবাদে সুজিত-স্বর্ণালীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিষয়টি রূপালী জানতে পেরে ছোট বোন স্বর্ণালীকে বাবার বাড়িতে দিয়ে আসেন। বাড়িতে পৌঁছানোর পর পরই স্বর্ণালী উধাও হয়ে যান। তাকে খুঁজে না পেয়ে মেয়ের জামাই সুজিত গাইনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বাবা কালিপদ সিকদার।
এ বিষয়ে রূপালী গাইনের ভাই জয়দেব সিকদার বলেন, শনিবার জামাইবাবু আমার বড় দিদির সঙ্গে বিয়ে থাকা সত্ত্বেও আমার ছোট বোনকে বিয়ে করেছে। রূপালী দিদি স্বর্ণালীকে পড়াশোনার স্বার্থে রেখেছিল। সে কারণেই তারা এমনটা করেছে। তবে রূপালী দিদি বিষয়টি মেনে নিয়ে ছোট বোনের সঙ্গে একত্রে সংসার করতে রাজি হয়েছেন।
সুজিত গাইনের প্রথম স্ত্রী রূপালী গাইন বলেছেন, স্বর্ণালী তো আমারই ছোট বোন। আমি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছি। যেহেতু তারা বিয়ে করে নিয়েছে, সে ক্ষেত্রে এখন আমরা দুই বোন একসঙ্গেই সংসার করব।
সুজিত গাইনের কাকা গজেন গাইন বলেন, একটা বিষয় হয়ে গেছে। এখন করার তো কিছু নাই। আমরা জেনেছি তারা বিয়ে করেছে। তাদের সঙ্গে আমরা পারিবারিকভাবে কথাও বলেছি। কয়েকদিন পর দিনক্ষণ দেখে তাদের চার হাত আমরা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এক করে দেব।
সুজিত গাইন বলেন, হঠাৎ করেই ভালো লাগা থেকে এ বিয়ে করেছি। তবে আমার প্রথম স্ত্রী মেনে নিয়েছে বিষয়টি। এখন আমি দুই স্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে ঘর করব।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, স্বর্ণালীর বাবা প্রথমে তাকে খুঁজে না পেয়ে নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরে আমরা সুজিত ও স্বর্ণালীকে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। এরপর অভিযোগ তুলে নিয়ে এ বিয়ে মেনে নিয়েছে স্বর্ণালীর পরিবার।
/এন এইচ