ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিল প্রবাসীদের জন্য সম্প্রতি স্থায়ী বা অস্থায়ী ভিত্তিতে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়ার বিধান রেখে একটি রেসিডেন্ট পারমিট আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। সৌদি গেজেট পত্রিকা বলছে, এর আওতায় পার্মানেন্ট বা টেম্পোরারি রেসিডেন্সি ভিসা অর্থাৎ স্থায়ী বা অস্থায়ী ভিত্তিতে বসবাসের করার ভিসা যারা পাবেন, তারা বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করবেন।
‘প্রিভিলেজড ইকামা’ নামে এই প্রকল্পটি সাধারণভাবে পরিচিত হয়ে উঠছে সৌদি গ্রিন কার্ড নামে। আইনটি কার্যকর হলে দেশটির বর্তমান জটিল ও আমলাতান্ত্রিক ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে বিবিসি বাংলা।
সৌদি আরবে এখন প্রবাসীদের এখন সাধারণত স্থানীয় একজন স্পন্সরের প্রয়োজন হয় এবং প্রবাসীরা সেখানে রেসিডেন্ট পারমিট পান না।
‘গ্রিন কার্ড’ আইনে কী থাকছে?
প্রস্তাবিত এ আইন অনুযায়ী একজন বিদেশী নাগরিক নির্ধারিত ফি দিয়ে সৌদি আরবে বসবাস, কাজ, ব্যবসা ও নিজের সম্পদ তৈরি করতে পারবেন।
একই সাথে প্রবাসীদের জন্য এখন যে স্থানীয় স্পন্সর দরকার হয়, এ আইনের আওতায় যারা স্থায়ী বা অস্থায়ী রেসিডেন্ট পারমিট পাবেন, তাদের আর সেই ধরণের স্পন্সরের দরকার হবে না।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের কি লাভ হবে?
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনেক বাংলাদেশি নামি-দামি শিক্ষক আছেন। দেশটিতে অনেক নামকরা চিকিৎসক এবং প্রকৌশলী বাংলাদেশি নাগরিক। ব্যবসা করেও অনেকে সুনাম কুড়িয়েছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
‘এরা সবাই চাইলে এ সুযোগ নিতে পারবেন, কারণ এটা করা হবে খুবই দক্ষ পেশাজীবী বা যাদের ভালো মূলধন তহবিল আছে অথবা যারা বড় ধরণের বিনিয়োগ করতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাই স্কিলড ব্যক্তিরা চাইলে এ সুযোগ নিতে পারবেন। আর তাদের জন্য স্থানীয় স্পন্সর দরকার হবে না।’
তাঁর মতে, সৌদি আরবে অনেক বাংলাদেশি আছেন, যারা ব্যবসা করে সুনাম কুড়িয়েছেন এবং সফল হয়েছেন। সৌদি গ্রিন কার্ড পদ্ধতি চালু হলে এবং তাঁরা চাইলে গ্রিন কার্ড সুবিধা নিয়ে পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
সৌদি আরবের মন্ত্রিসভা আইনটিতে অনুমোদন দেয়ার মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।