দেশজুড়ে
সেলফিতে ব্যস্ত বন্ধুরা ছবিতে মিললো আবিরের ডুবে যাওয়ার দৃশ্য
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ছাত্র আহসান আবির এবং বন্ধুরা মিলে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি ঘুরে পদ্মাচরে যায়। সেখানে গিয়ে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে সবাই। আর গোসলের মাঝে স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সেলফি তুলতে যখন সবাই ব্যস্ত ঠিক তখনই বন্ধু আবিরের পানিতে ডুবে যাওয়ারও দৃশ্যও আটকে পরে তাদের সেলফিতে। কিন্তু সেসময় আবিরের দিকে নজর যায়নি বন্ধুদের।
আহসান আবির যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদালপুর গ্রামে।
নিহত আহসান আবিরের বন্ধু পলাশ আহমেদ বলেন, আমরা সবাই রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি ঘুরে পদ্মার চরে যাই। সবাই যখন পানিতে খেলছিলাম, তখনই হঠাৎ পানিতে ডুবে যায় আবির। কিছুক্ষণ পরে বালুর চরে গেলে আবিরের খোঁজ হয়। তখন পানিতে খেলা করার সময় যে সেলফি তোলা হয় সেটি দেখে বোঝা যায় আমরা যখন সেলফি তুলছিলাম বন্ধু আবির তখন ডুবে যাচ্ছিল।
যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক তবিবুর রহমান জানান, সোমবার সকালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ১৩১ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক শিক্ষাসফরে শিলাইদহে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে যান। সেখানে যাওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিলো একা একা কোথাও যাওয়া যাবে না এবং নদীতে যাওয়া যাবে না। কিন্তু কয়েকজন নিষেধ অমান্য করে পদ্মা নদীতে চলে যায়। দুপুর দেড়টার দিকে ১৯ জন শিক্ষার্থী সেখানে গোসল করতে পানিতে নেমেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবির পানিতে ডুবে যায়।
সহপাঠীরা আবিরকে খুঁজে না পেয়ে বিষয়টি শিক্ষকদের জানায়। পরে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তাদের খবর দিলে জাল টেনে এবং ডুব দিয়ে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু শিক্ষার্থীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ডুবুরি দলের সদস্যরা এলে তাদের সহযোগিতায় রাত ৯টার দিকে আবিরের লাশ পাওয়া যায়।
এদিকে কলেজের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার শোক ঘোষণা করা হয়। এদিন সকালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে আহসানের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
/এন এইচ