দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামশিক্ষা-সাহিত্য
সেপ্টেম্বরে খুলছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বাড়ছে স্কুলের ছুটি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছুটি আরও বাড়ছে।
আগামী নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি নেওয়ার সিদ্ধান্তও প্রায় চূড়ান্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংক্রমণের পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে আসা পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ফলে স্কুলের ছুটি আরেক দফা বাড়ছে।
ডব্লিউএইচও’র মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে সংক্রমণ ৫ শতাংশে নেমে এলে সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সোমবারও দেশে বর্তমানে সংক্রমণের হার ছিল সাড়ে ১৫ শতাংশ।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, করোনা সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে বা সন্তোষজনক পর্যায়ে না এলে স্কুলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, সংক্রমণ প্রত্যাশিত হারে নেমে আসতে বা টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে আর হয়তো ৫-৬ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। ওই পর্যন্ত অপেক্ষা হয়তো কষ্টকর হবে না।
তিনি বলেন, শ্রেণিকক্ষের পাঠদান উন্মুক্ত করতে সবাইকে টিকা দেওয়ার কাজও শেষ করা প্রয়োজন। এ দুটি সন্তোষজনক পর্যায়ে না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। সেজন্য চলমান ছুটি আরও বাড়ানো হতে পারে।
ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৮ সেপ্টেম্বর থেকে মাস্টার্সের স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে। এভাবে অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোটি পরীক্ষা নিচ্ছে, আবার কোনোটি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর কবে খুলে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন, কিন্তু সুনির্দিষ্ট তারিখ বলেননি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যখনই অনুকূলে আসবে, প্রথম সেই সুযোগটুকু আমরা নেব।
এছাড়া, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তোড়জোড় চলছে। গেল ১৮ আগস্ট দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পর পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনার পর শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের ৮৪ ভাগ শিক্ষক-কর্মচারী টিকার আওতায় এসেছেন। দেশে প্রাথমিকের তিন লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৩ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। এর মধ্যে ২০ আগস্ট পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন তিন লাখ তিন হাজার ৩১৯ জন, যা শতকরা ৮৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি চলবে।
/ আর এইচ এস