বিশেষ প্রতিবেদনভ্রমন

সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া এক পর্যটকের ৫০ দিনের ডায়েরি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বাকি পর্যটকদের মতো মাহমুদুল হাসানও গিয়েছিলেন সেন্টমার্টিনে। পরিকল্পনা ছিল- সর্বোচ্চ দু’রাত থাকার। কিন্তু একদিন পরই জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটকদের বাড়ি ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়। করোনার জেরে পুরো দ্বীপ পর্যটকশূণ্য হয়ে পড়লেও স্বেচ্ছায় থেকে যান মাহমুদুল হাসান।

১৫ মার্চ থেকে ৫ মে—এই ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সেন্টমার্টিনের আসল রূপ দেখেছেন মাহমুদুল হাসান।মাহমুদুল হাসান বলেন, এমন রূপ হারহামেশা দেখা মেলেনা। ১৯ মার্চ শেষ জাহাজ ছেড়ে যায় সেন্টমার্টিন থেকে। চাইলে তিনি ফিরতে পারতেন, কিন্তু দ্বীপের নির্জনতার লোভ তিনি সামলাতে পারেননি।

মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি উঠেছিলাম সায়রী ইকো রিসোর্টে। আমার রুমটা একদম বিচের পাশে, ফিতা দিয়ে পরিমাপ করলে ৩০ফুটের বেশি হবে না। তাই ঘুমাতে যাই ঢেউ-এর শব্দ শুনে, আবার ঘুম থেকে জেগে উঠেই সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাই।

      সেন্টমার্টিনে এক পর্যটক গত ৫০ দিনে যা দেখলেন

মাহমুদুল হাসান সেখানে একা নন। সেই রিসোর্টে দুই কর্মী ও তার তিনবন্ধু রয়েছেন। নিজেরাই করছেন রান্নাবান্না। তারা সুন্দর একটি রুটিনও করেছেন- দুপুর ১২টায় ঘুম থেকে উঠা, তারপর রান্না করা। খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ ফেসবুকিং করা। বিকেলে সৈকতে হেঁটে বেড়ানো, সূর্যাস্ত দেখে রাতের খাবার সেরে নেয়া। এরপর মুভি দেখে রাত ২-৩টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন তারা।

তারা জানান, সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেন্টমার্টিনের মানুষের জীবনযাপন। এছাড়া- নবযৌবনা জোয়ার-বাটা, নির্জন সৈকত ও কচ্ছপের বাচ্চা। আর দ্বীপ বাসির কিছু আঞ্চলিক শব্দ। যেমন- সেন্টমার্টিনের মানুষরা মুরগীর রোস্টকে বলেন দুরুস কুড়া।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close