দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
সেই কিশোর শাহীনের ভ্যানটি উদ্ধার; আটক ৩
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তদের হাতে জখম কিশোর শাহীনের ভ্যানটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, নাঈমুল ইসলাম নাঈম, আরশাদ পাড় ও বাকের আলী।
সোমবার সকালে সন্দেহভাজন হিসেবে নাঈমকে তার বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে আরশাদ পাড় ও বাকের আলীকে আটক করে সাতক্ষীরার পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে আরও ৩-৪ জন জড়িত রয়েছে। কিন্তু তাদের নাম প্রকাশ করেননি পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, কেশবপুরের মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলী মোড়লের ছেলে কিশোর শাহীনের ভ্যানে শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে যাত্রীবেশে ওঠে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে তারা সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধানদিয়ায় রাস্তার দু’পাশের পাট ক্ষেতের নির্জন স্থানে পৌঁছালে কথিত যাত্রীরা শাহীনের মাথায় আঘাত করে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেকক্ষণ অচেতন অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকে সে। জ্ঞান ফিরলে শাহীনের কান্নার শব্দে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাটকেলঘাটা (প্রশাসনিক) থানায় খবর দেন।
এরপর পুলিশ শাহীনকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে পরদিন শনিবার (২৯ জুন) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে রোববার (৩০ জুন) তার চিকিৎসায় গঠিত হয় সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
তার আগে ঢামেকে শনিবার রাতেই শাহীনের অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার শেষে রাত সোয়া ৩টায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। গুরুত্বর আহত শাহিন বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তার রক্তাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী।
এখনো তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা সোমবার (০১ জুলাই) দুপুরে তিনি জানান, শাহীন মোড়লের আজও সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। সকালের দিকে আইসিইউতে গিয়ে তার নাম ধরে ডাকার পর সে চোখ তুলে তাকিয়েছে।