বিশ্বজুড়ে

সু চির তিন বছর কারাদণ্ড

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) জান্তার আদালত তাকে এ কারাদণ্ডাদেশ দেন।

গত আগস্টে অং সান সুচিকে ছয় বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন দেশটির সামরিক আদালত। এর আগেও দুর্নীতি, জান্তাবিরোধী আন্দোলনে উস্‌কানি এবং করোনার বিধিনিষেধ ও টেলিকমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় সু চিকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

গত বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বন্দি রয়েছেন ৭৭ বছর বয়সী সু চি। এর মধ্যদিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরম আকার ধারণ করতে শুরু করে।

সু চির বিচারে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তার আইনজীবীদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।

সাংবাদিকদেরও তার বিচার চলাকালে উপস্থিত হতে দেয়া হয় না। সু চির সমর্থক গোষ্ঠী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও তার সম্মানহানির চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

সু চির দণ্ডকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে তার মুক্তি দাবি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সামরিক বাহিনী বলছে, একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাকে প্রাপ্য আইনি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা চলছে।

এদিকে নিজেদের ক্ষমতা পোক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে সেনা সরকার। তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধের মুখে পড়ছে। পাশাপাশি দেশজুড়ে চলছে জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।

তবে শুরু থেকেই বিক্ষোভকারীদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে জান্তা সরকার। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৩০০ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মনে করছে, এখন সশস্ত্র সংগ্রামও দরকার। সেই লক্ষ্যে তারা কারেন প্রদেশের জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close