বিশ্বজুড়ে

সুপার টাইফুনে লণ্ডভণ্ড জাপান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সুপার টাইফুন হাগিবিসের আঘাতে জাপানের রাজধানী টোকিও ও পার্শ্ববর্তী উত্তরপূর্ব অঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। জাপানের প্রধান দ্বীপ হনশুতে আঘাত হানা প্রবল এ টাইফুনে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু খবর দিয়েছে রয়টার্স। এছাড়াও প্রায় ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ঝড়ে দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

একে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন বলে রোববার জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। টাইফুনের তাণ্ডবে সৃষ্ট বন্যা থেকে মানুষদের উদ্ধারে সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জাপানের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ টাইফুন হাগিবিস প্রচুর মেঘ বয়ে নিয়ে উপকূলে উঠে আসায় ভারি বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখন বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা আপাতত বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ সতর্কতা লেবেল-৫ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে টোকিও, গুন্মা, সায়তামা, কানাগাওয়া, ইয়ামানাশি, নাগানো, শিজুওয়াকা, নিগাতা ও ফুকুশিমা অঞ্চলের বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভূমিধস ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।’

ঝড় ও বন্যার সঙ্গে লড়াইরত মানুষদের উদ্ধারে প্রায় ২৭ হাজার সেনা, পুলিশ, কোস্টগার্ড এবং ফায়ার ফাইটারসহ অন্যান্য উদ্ধারকর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। হাগিবিসের প্রভাবে ইতোমধ্যে জাপানের ৮ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল এবং দ্রুতগামী বুলেট ট্রেনসহ প্রায় সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।

যদিও টোকিওর নারিতা এবং হানেদা বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ অবতরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ শনিবার থেকে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল হতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা কর্মকর্তাদের। প্রায় ষাট লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা একটি ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার এসডিএফ সেনা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। আমরা জনগণকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। টাইফুনের ব্যাপকতা কমে এলেও আমরা এখন বন্যার কবলে পড়েছি। সবাইকে সতর্কভাবে চলার অনুরোধ করছি।’

তিনি রোববার একটি জরুরি বৈঠক ডেকে আলোচনার পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রীকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠিয়েছেন বলেও জানায় রয়টার্স।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close