দেশজুড়ে
সুন্দরবন দিবসে বন রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবন। ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম বড় নোনা জলাভূমির বন সুন্দরবন। প্রায় ৭শ’ প্রজাতির জীব-বৈচিত্রের সমারোহ আছে এই বনে। এরমধ্যে গাছই আছে ২শ ৩০ প্রজাতির বেশি। এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে নিজেদের পাশাপাশি প্রকৃতির সুরক্ষার জন্য সুন্দরবনকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর দাবি বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বনবিভাগ।
বনসংলগ্ন এলাকাবাসীর একটি বড় অংশ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। তবে, ক্রমাগত আহরণের ফলে কমছে সম্পদের পরিমাণ। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বৈধ ও অবৈধ কার্যক্রমের কারণে গাছের পরিমাণ কমছে আশঙ্কাজনক হারে।
শিল্পায়নের জন্য দূষণসহ নানা কারণে এখানকার জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
সুন্দরবন একাডেমির উপদেস্টা রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘সুন্দরবন থেকে দূরে গিয়ে আমরা যদি আমাদের এই শিল্প সম্প্রসারণের কাজ করতে পারি, তাহলে দুটো লাভ, সুন্দরবন রক্ষা পেল আর আমরা আমাদের শিল্পের বিকাশ সেটাও করতে পারলাম।’
পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক সাইফুর রহমান খান জানান, ‘পর্যটকরা ওয়ানটাইম প্রডাক্ট ব্যবহার করে সুন্দরবনে ফেলে চলে যায়, এর ফলে পানি দূষিত হচ্ছে। আর এই প্লাস্টিক জাতীয় যে পণ্য; সেগুলো জীববৈচিত্রের জন্য হুমকির কারণ।’
বনকে বাঁচাতে গবেষণার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সুন্দরবন ইনস্টিটিউটের পরিবেশ বিজ্ঞানী।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. দিলীপ কুমার দত্ত বলেন, ‘সুন্দরবন উজাড় হয়ে গেল এরকম চিন্তা ভাবনা না করে, সুন্দরবনকে নিয়ে আর্থ সামাজিক গবেষণা চালাতে হবে। এতে গুরুত্ব দিতে হবে মূলত বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণা।’
বিভাগীয় বন সংরক্ষক কর্মকতা মঈনুদ্দিন খান এই ম্যানগ্রোভ বন রক্ষায় নানা ব্যবস্থার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনকে ঘিরে যে সকল অপরাধ মূলক কার্যক্রম চলে সামনের দিনগুলোতে সেগুলো আরও কমিয়ে আনা হবে।’
২০০২ সাল থেকে ১৪ই ফেব্রুয়ারি বনের আশপাশের জেলাগুলোতে পালিত হচ্ছে ‘সুন্দরবন দিবস’।
/এএস