ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে বাধা পেয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে ভারতীয় অংশের সুন্দরবনের সাগরদ্বীপে আঘাত হানে। এরপর এটি বাংলাদেশের সুন্দরবনের খুলনা অংশে ঢুকে পড়ে। দুই দেশের সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে দুর্বল ‘বুলবুল’র কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে যায়। জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতাও কমে আসে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের জন্য সুন্দরবন ঠিক দেয়ালের কাজটাই করে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ছোবল থেকে উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় সুন্দরবন ঢাল হিসেবে কাজ করছে। আর এর ফলে লোকালয়ে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির শঙ্কা অনেকটাই কমে এসেছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদ ও বনকর্মীরা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ আপাতত বন্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ।
এছাড়া বনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে কাজ শুরু করেছেন বন বিভাগের ৬৩টি ক্যাম্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মঈন উদ্দিন খান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বন বিভাগের কিছু ক্যাম্প, কাঠের পন্টুন, জেটি, ওয়াকওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বা বন্য প্রাণীর মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কিছু গাছপালার ডাল ভেঙেছে। বনের ভেতরে থাকা ৬৩টি ক্যাম্পের কর্মীরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছেন। এ অবস্থায় সুন্দরবনে আপাপত পর্যটকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে না।