প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি ছাড়াই শেষ হলো জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ইতালীর রাজধানী রোমে শুরু হওয়া বিশ্বের শিল্পোন্নত ২০ দেশের সংগঠন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি ছাড়াই।
কার্যকর ও অর্থবহ কোন পদক্ষেপের ঘোষণা না আসলেও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় একমত হয়েছেন বিশ্ব নেতারা। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অর্থায়ন করা হবেনা বলে ঐক্যমতে পৌঁছালেও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নিজ দেশের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেনি দেশগুলো।
জি-২০–এর নেতারা চলতি শতকের শেষে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্যের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে তা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় কী কী পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করবেন, তার সামান্যই প্রকাশ করা হয়েছে। একারণে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হতে যাওয়া কপ-২৬ সম্মেলনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বিশ্ব।
এর আগে, বিশ্বের কিছু দেশ জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার যে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেগুলোর অকার্যকারিতা দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বিশ্ব হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
প্রথম দিনের বৈঠকে বিশ্ব অর্থনীতি ও করোনা মহামারি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বহুজাতিক কম্পানিগুলোর কর ফাঁকি দিয়ে মুনাফা বৃদ্ধিতে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ করপোরেট করের ঐতিহাসিক চুক্তিতে সায় দেন বিশ্বনেতারা। এছাড়া করোনা মহামারি মোকাবিলায় ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণাও দেয়া হয়।
করোনা মহামারি শুরুর পর প্রথমবারের মত জি টুয়েন্টি নেতারা সশরীরে সম্মেলনে উপস্থিত হন। তবে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশ্বে যত কার্বন নিঃসরণ হয়, তার ৮০ শতাংশের জন্যই দায়ী জি-২০ভুক্ত দেশগুলো। বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে এ দেশগুলোর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে গ্লাসগোতে শুরু হতে যাওয়া কপ-২৬-এর আগে এবারের জি-২০ সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে ছিল অনেকেই।