বিনোদন
সুদর্শন নায়ক যশ!
ঢাকা অর্থনীীত ডেস্ক: নুসরাত জাহান ইস্যুতে বেশ আলোচিত অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। রিল লাইফের চেয়ে আজকাল তার রিয়েল লাইফ নিয়েই আলোচনা-সমালোচনা বেশি হচ্ছে।
এবার টালিউড এ অভিনেতার প্রশংসা করেছেন বলিউড অভিনেতা রোহিত রায়। যশকে ‘কলকাতার সবচেয়ে সুদর্শন নায়ক’ হিসেবে অ্যাখা দিয়েছেন তিনি। যশের একটি ইনস্টাগ্রামে পোস্টে এ কথা লিখেছেন রোহিত।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি লিখতে চেয়েছিলাম পুরো দেশে তুমি সবচেয়ে সুদর্শন। কিন্তু তারপর ভাবলাম, আমার বলিউডের বন্ধুরা অসন্তুষ্ট হতে পারে। ভালো থেকো।’ ‘কাবিল’, ‘মুম্বাই সাগা’, ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ সিনেমার এ অভিনেতার প্রশংসা পেয়ে আপ্লুত যশ। পাল্টা উত্তরে রোহিতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, রোহিতের দাদা রণিত রায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন যশ। ২০০৯ সালে হিন্দি ধারাবাহিক ‘বন্দিনী’তে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তারা। রণিতের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যশ।
তখন মাত্র অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন এ অভিনেতা। এরপর টালিউডে নিজের অবস্থান পাকা করেন তিনি। ছোটপর্দার সফল এ অভিনেতা বড়পর্দায় সাফল্যের মুখ দেখেন ২০১৬ সালে। ওই বছর মুক্তি পায় তার ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছিলেন বিরসা দাশগুপ্ত।
এতে যশের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ছবির পোস্টার শেয়ার করেছেন যশ। লিখেছেন, ‘পোস্টারটি আমার ফেসবুকে এল। পাঁচ বছর আগে আজকের দিনটা মনে পড়ল। সুন্দর সব স্মৃতি।’
এদিকে নুসরাতকে ঘিরে লম্বা সময় ধরে আলোচনায় যশ। সদ্য মা হওয়া নুসরাতের সন্তানের বাবা এ অভিনেতা। এমন কথাই ছড়িয়ে পড়েছে টালিপাড়ায়। যদিও এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি যশ। তবে নুসরাতের পাশে আছেন ছায়ার মতো। পার্ক স্ট্রিটের হাসপাতালে অভিনেত্রীর ইচ্ছায় সবসময় পাশে ছিলেন এ অভিনেতা।
শোনা যায়, গত বছর লকডাউনের পর ‘এসওএস কলকাতা’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে নুসরাত-যশের। তারপর প্রেম। বিভিন্ন পার্টিতেও একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাদের। আজমীর শরীফেও ঘুরতে গিয়েছিলেন নুসরাত-যশ। এরপর থেকে তাদের প্রেমের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
প্রেমের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নুসরাতকে ‘সঙ্গিনী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন যশ। বলেছিলেন, ‘ছোট থেকে আজ পর্যন্ত ব্যক্তিগত জীবন কারো সামনে আনিনি। আগামী দিনেও আনব না। নুসারত হাসপাতালে ভর্তি হলে, সন্তানের জন্ম দিলে কেন সেটা চেপে রাখব! তাছাড়া, সব কথা আমি একা বলব কেন? আমার সঙ্গিনীরও হয়তো কিছু বলার থাকতে পারে। সেটা ওর মুখ থেকে শোনাই বোধ হয় ভালো।’