দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

‘সীমান্তে হত্যা ভারতের জন্য লজ্জাজনক’: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ সরকার চায় না সীমান্তে একটি লোকও মারা যাক। এ নিয়ে মন্ত্রী, বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে। এত কিছু হবার পরও সীমান্তে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এটি বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক ও ভারতের জন্য লজ্জাজনক।

শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন লোক দাবি তুলেছেন সীমান্তে যেন একটি লোকও মারা না যায়। ভারত হোক আর বাংলাদেশই হোক, কোনো লোকের সীমান্তে মৃত্যু চাই না। আশাকরি ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং জনগণ একসঙ্গে কাজ করবে, যাতে আমরা মৃত্যু শূন্য সীমান্ত গড়তে পারি।

রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশ এক বাক্যে রোহিঙ্গারা যাতে তাদের দেশে ফেরত যায় সে‌ ব্যাপারে বলেছে। ইতিমধ্যে রেজল্যুশন পাস হয়েছে। আমরা যেটা এত দিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম। আমরা বিশ্বাস করি, এতে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। এর আগে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও তারা কথা রাখেনি।

ড. মোমেন এ সময় বলেন, আশা করা যায়, আগামীতে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে। কারণ, মিয়ানমার কখনো বলে নাই যে, তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নিবে না। তারা আমাদের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট করেছে যে, তারা তাদের লোকদের নিয়ে যাবে এবং তারা যাতে স্বেচ্ছায় যায় সেজন্য পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আমরা আশা করি, আগামীতে তারা তাদের কথা রাখবে।

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close