বিশ্বজুড়ে
সীমানা পিলার গুড়িয়ে দিল নেপালিরা! ভারতের ধৈর্য্য পরীক্ষা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভারতীয় কয়েকটি অঞ্চলকে দেশের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা যে বিরোধিতার রাস্তা তৈরি করেছেন, সে পথে হেঁটেই সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের নেপালিরা গুঁড়িয়ে দিলো সীমান্ত পিলার। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।
খবরে বলা হয়, ভারত বিরোধিতা করে অলির দেশপ্রেমের জিগিরে নেপাল সীমান্তে ধীরে ধীরে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। নেপাল পুলিশও হঠাত্ করে নিজেদের হনু ভাবতে শুরু করেছে। ভারত যদিও প্রতিবেশী এই হিন্দু রাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘর্ষের পথে যায়নি। চরম ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছে।
ইন্ডিয়া টাইমস জানায়, এর আগে বিহারে নেপাল সীমান্তের কাছের একটি গ্রামে খেতে কর্মরত দুই ভারতীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে নেপালের সেনা। গুলিতে পালটা জবাব না দিলেও নেপালের এই ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ আগেই করেছে ভারত। সেই ঘটনার রেশ কটার আগেই সীতা গুহা সীমান্তে ভারতের পিলার গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেপালের স্থানীয় জনগণের বিরুদ্ধে। স্থানীয় মানুষের দাবি, ওই এলাকা তাদেরই।
সূত্রের খবর, ভারত-নেপাল সীমান্তে সীতা গুহার সামনেই একটি পিলার ছিল। সীতা গুহার কাছে যে এলাকা রয়েছে, তা নেপালের বলে দাবি করে কয়েক জন নেপালি নাগরিক তা বড় হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ।
তবে খবরের সত্যতা ভারতীয় সেনা বাহিনীর তরফে স্বীকার করা হয়নি। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে, একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সীতা গুহায় পিলার ভাঙার খবর পেয়ে সেখানে ভারতীয় সেনা পোঁছেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে ওই অঞ্চলে উত্তেজনাও রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, শনিবার রাতে আবারও বিহারের কিষাণগঞ্জ সীমান্তে তিন ভারতীয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেপাল পুলিশের বিরুদ্ধে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, গুলিতে এক ভারতীয় নাগরিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
সম্প্রতি এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ভারত-নেপাল সীমান্তে এমন ঘটনা ঘটল। গত মাসে ১২ জুন বিহারের সীতামারি বর্ডার পয়েন্টে সংঘর্ষের সময় গুলি ছুড়েছিল নেপালের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। নেপাল পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় কৃষক প্রাণ হারান। আহত হয়েছিলেন আরও ২ জন ভারতীয় নাগরিক।
সীতামারির নেপাল-ভারত সীমান্তে তেমন বিধিনিষেধ না থাকায়, বিহার থেকে অনেকেই জীবিকার তাগিদে নেপালে যান। অনেকে সেখানে বিয়েও করেছেন। সম্প্রতি করোনা মহামারির জেরে নেপাল সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
এ দিনের ঘটনায় কিষাণগঞ্জের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী কারণে সীমান্তে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নেপাল পুলিশের তরফে এটিকে ‘স্থানীয় সংঘর্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়েছে, এটি কোনো সীমান্ত বিরোধ নয়।
/আরএম