বিশ্বজুড়ে

সি- বাইডেন বৈঠকে আলোচনায় আসলো যেসব বিষয়

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল বুধবার বৈঠক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৈঠকটি হয়।

এক বছরের মধ্যে এই প্রথম বাইডেন ও সির মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক হলো। তাঁরা প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন।

সির সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একক সংবাদ সম্মেলন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

সির সঙ্গে বৈঠককে অন্যতম সবচেয়ে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, বৈঠকে তাঁরা সব সময় সবকিছুতে একমত হননি। তবে সির সঙ্গে তাঁর পুরো আলোচনা ছিল সোজাসাপটা।

সির সঙ্গে বৈঠকে জিনজিয়াং, তিব্বত ও হংকংয়ে চীনের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন বাইডেন।

চীনে আটক মার্কিন নাগরিকদের বিষয়টি সির কাছে বাইডেন উত্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কোনো চুক্তি না হলেও তাঁদের মুক্তির আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

সির সঙ্গে বৈঠকে তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাইডেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাইওয়ান, ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে।

দুই নেতার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উচ্চপর্যায়ের সামরিক যোগাযোগ আবার চালু করতে রাজি হয়েছে। দুই দেশ ফেন্টানাইল উৎপাদন রোধে পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।

বৈঠকে চীনকে দমন বা আটকানোর পরিকল্পনা না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সি। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

বাইডেনকে সি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়া বা স্থানচ্যুত করার কোনো পরিকল্পনা চীনের নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্রেরও উচিত নয়, চীনকে দমন বা আটকানোর পরিকল্পনা করা। উভয় পক্ষের উচিত পরস্পরের নীতি বোঝা।

সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, যোগাযোগ বজায় রাখা ও সংঘাত রোধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close