দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
সিটিং সার্ভিস ভাড়ায় চলছে বাস, নেওয়া হচ্ছে বেশি ভাড়া
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: পরিবহন মালিক নেতারা ঘোষণা দিলেও রাজধানীতে মানা হচ্ছে না বাসে সিটিং সার্ভিস বন্ধের নির্দেশনা। নেওয়া হচ্ছে বেশি ভাড়া। বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মালিকপক্ষের যৌথ অভিযানেও থামছে না চালক-সহকারীদের দৌরাত্ম্য। নৈরাজ্য থেকে মুক্তি চান নগরবাসী।
রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে বাস শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে সিটিং সার্ভিসের ভাড়া আদায় করছে। যদিও বিআরটিএর হিসেবে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিসের কোনো ব্যবস্থাই নেই। গত বুধবার বাস মালিক সমিতি এ সিদ্ধান্ত নেয়। নির্দেশনায় বলা হয় সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় ৬ হাজার বাসের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজি চালিত বাস রয়েছে। অথচ সিএনজি চালিত বাসগুলোও যাত্রীদের কাছ থেকে ডিজেল চালিত বাসের ভাড়া আদায় করছে।
এ ব্যাপারে মালিক সমিতি জানায়, সিএনজি এবং ডিজেল চালিত গাড়িতে স্টিকার লাগানোর কথা। যদিও এখানও তেমন কোনো কার্যকরি উদ্যোগ চোখে পড়েনি। রাজধানীতে বলতে গেলে প্রতিটি বাসের চিত্রই এখন এমন। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী আর বাস কন্টাক্টটারের মধ্যে তর্কের শেষে হার মানতে হচ্ছে যাত্রীদেরই।
কথা ছিল রোববার থেকে চলবে না সিটিং সার্ভিস, থাকবে না ওয়েবিল। অথচ সেই নির্দেশনা মানছে না কেউই। সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা হলেও গেইটলক সিটিংয়ের নামে দিতে হচ্ছে দ্বিগুন ভাড়া।
সকালে রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় বিআরটিএ-এর অভিযানে ছিলেন বাস মালিকপক্ষও। ভ্রাম্যমাণ আদালত শুনেই যেন সিটিং বাস হয়ে যায় লোকাল।
তবে কর্তৃপক্ষ সেই গতানুগতিক আশ্বাস শিগগিরই শৃঙ্খলা ফিরবে নগরের গণপরিবহনে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, সরকার ঘোষিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। বলেন, ওয়েবিলের সঙ্গে ভাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ভাড়ার যে নতুন চার্ট আছে সে অনুসারে তা আদায় করবে। এর বাইরে কেউ আদায় করতে পারবে না।
বিআরটিএয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সিটিং সার্ভিস বা গেটলকের নামে তারা যে ভাড়া আদায় করছে, সরকার নির্দেশিত ভাড়া আদায় করছে কিনা সেটি আমরা মনিটর করছি। ভাড়ার চার্টে যেটা দেওয়া আছে সেটার চেয়েও বেশি আদায় করছে, বিভিন্ন অনিয়ম আমার কাছে পরিলক্ষিত হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।