ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি। প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ দেশে প্রতিনিয়ত পাড়ি জমান বিশ্বের হাজারো পর্যটক। মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার কোলঘেঁষা ছোট্ট এ দেশটিতে জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন পাড়ি জমান অনেক বাংলাদেশি। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা ও ভ্রমণে যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু চাঙ্গি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা।
নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয় বাংলাদেশিদের। বিশেষ করে যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় যান। সেই প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে কারো কারো কপাল পোড়ে। বিমানবন্দর থেকেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় দেশে। আবার অনেক শ্রমিককেও ফিরিয়ে দেয় দেশটি। তবে শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই ফিরিয়ে দেওয়ার প্রধান কারণ ইন্স্যুরেন্স না থাকা।
বাংলাদেশি পর্যটকদের নিয়ে রীতিমতো হাসি-ঠাট্টা করেন দেশটির ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। আলাদা রুমে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনেককে। পরে তাদের মনমতো উত্তর দিতে পারলে সিঙ্গাপুর ঢুকতে দেওয়া হয়, না পারলে ফিরতে হয় দেশে।
তবে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি এ তালিকায় রয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার পর্যটকরাও। প্রতিদিন অন্তত অর্ধশত পর্যটককে ফিরিয়ে দেয় সিঙ্গাপুর ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্ট অথরিটি।
পর্যটক ভিসায় সিঙ্গাপুর গমন করেছিলেন রাজশাহীর আপেল মাহমুদ। অনলাইনে হোটেল বুকিংও দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা অগ্রিম পরিশোধ না করার অজুহাত দেখিয়ে তাকে ঢুকতে দেয়নি ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তিনি একা সিঙ্গাপুরে কেন গেছেন, এমন নানান প্রশ্নে জর্জরিত করা হয় তাকে। এছাড়া সিঙ্গাপুরে কী কী পর্যটন স্পট রয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়।
এমনই আরেকজন ঢাকার রাহুল। তিনিও হোটেল বুকিং দিয়েছেন, কিন্তু টাকা না পরিশোধের অজুহাতে তাকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন এমন অন্তত অর্ধশত ঘটনা ঘটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশিরা।
এসব হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সরকারকে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসী ও পর্যটকরা।