রাজস্বশিল্প-বানিজ্য

সারাদেশ অচল করে দেয়ার হুমকি দিলেন বিড়ি শ্রমিকরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে বর্ধিত কর প্রত্যাহার ও বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে ঢাকাসহ সারাদেশ অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশে এই ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙালির সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা এমপি বলেন, বিড়ি একটি কুটির শিল্প। এই শিল্পের সঙ্গে ২০ লাখের বেশি শ্রমিক জড়িত। শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে এ শিল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিড়ির ওপর বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি সিগারেটকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় দিয়ে বিড়িকে ১০ বছর আগে বন্ধ করে সিগারেটের সাথে বিড়ি অসামঞ্জস্য নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এটা কখনও হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ধূমপান বন্ধ করতে হলে বিড়ি ও সিগারেট দুটিই বন্ধ করতে হবে। একটি চালু রেখে অপরটি বন্ধ থাকবে তা হতে পারে না। ১০ বছর বিদেশি কোম্পানিকে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া উচিত নয়।

ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙালি বলেন, দেশে ধূমপান থাকলে বিড়ি থাকবে। সিগারেটকে রেখে বিড়ি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র কোনোভাবে মেনে নেয়া হবে না। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর কর বৃদ্ধির পাঁয়তারা করা হলে ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিক নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকা অচল করে দেব। চর, নদীভাঙন ও মঙ্গা অঞ্চলের বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে বিড়ির ওপর কর কমানোর জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করছি।

এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বিড়ি শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি গরিবের নেত্রী। আমাদের বিশ্বাস আপনি ক্ষমতায় থাকতে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। আপনি আমাদের ২০ লাখ শ্রমিকের দিকে তাকিয়ে বিড়ির ওপর বর্ধিত কর প্রত্যাহার করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close