সাভার

সাভার থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে কাজ করেছে সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুলিশ দায়িত্ব পালনের জন্য থানায় না ফেরায় সেনাসদস্যরা আজ শুক্রবার সকাল থেকে সাভার থানায় অবস্থান নিয়ে অস্ত্র, গুলি, গ্রেনেডসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে কাজ করেন। তাঁরা অস্ত্র, গোলাবারুদসহ লুণ্ঠিত মালামাল ফেরত দেওয়ার জন্য মাইকে প্রচার চালান। এরপর জনসাধারণ লুণ্ঠিত মালামাল ফেরত দিতে শুরু করেন।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত থানা থেকে লুট হওয়া বেশ কয়েকটি অস্ত্র, গুলি, গ্রেনেড, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল জমা পড়েছে বলে জানান কর্তব্যরত সেনাসদস্যরা।

বেলা ৩টার দিকে সাভার থানায় গিয়ে সেনাসদস্যদের কাছে চারটি গুলি জমা দেয় সাভার পৌর এলাকার বাসিন্দার চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে। জানতে চাইলে এই শিশু শিক্ষার্থী বলে, ‘আমি বাজি মনে করে এক লোকের কাছ থেকে ৪০ টাকা দিয়ে পাঁচটি গুলি কিনি। সেনাবাহিনী মাইকিং করার পর গুলি জমা দিই।’

বেলা আড়াইটার দিকে একটি গ্রেনেড জমা দিতে এসেছিলেন পৌর এলাকার ভাগলপুরের পোশাক কারখানার কর্মী আবু সাঈদ চঞ্চল। ৫ আগস্ট লুটপাটের সময় থানা থেকে গ্রেনেডটি নিয়ে বাসায় রেখে দিয়েছিলেন তিনি।

আবু সাঈদ চঞ্চল বলেন, ‘গ্রেনেড ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। টেলিভিশনে দেখেছি। এর পরেও দেখতে সুন্দর বলে আমি বাসায় নিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। আজ সেনাবাহিনী মাইকিংয়ের পর গ্রেনেডটি জমা দিয়ে যাই।’

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়ে ৫ আগস্ট পুলিশ পালিয়ে যাওয়ার পর কয়েক শ লোক থানায় ঢুকে ব্যাপক লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তারা অস্ত্রাগার ভেঙে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, গ্রেনেডসহ মূল্যবান সব মালামাল লুটে নিয়ে যায়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় থানা ভবনসহ কর্মকর্তাদের কার্যালয়।

সাভার থানায় কর্তব্যরত সেনাসদস্যরা জানান, লুণ্ঠিত অস্ত্র, গুলি, গ্রেনেডসহ মূল্যবান সামগ্রী ফেরত দেওয়ার জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের জমা দিলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আর নির্দিষ্ট সময়ে জমা না দিলে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। তখন যার কাছে অস্ত্র, গুলিসহ অন্যান্য মালামাল পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close