আশুলিয়াধামরাইসাভারস্থানীয় সংবাদ
সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে বিএনপির ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতা সহ বিভিন্ন অভিযোগে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৪, সাভার মডেল থানায় একজন ও ধামরাই থানায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামীরা হলেন- আশুলিয়ার ভাদাইলের নুরুল হকের ছেলে আশুলিয়া থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম(৩২), আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের পানধোয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে লুৎফুর রহমান(৫৭), পানধোয়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো মাসুদ(৩৩), শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতী গ্রামের আমিন ব্যাপারীর ছেলে সোহেল রানা (৩২)।
আশুলিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, আসামীদের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় পৃথক মামলা ছিল। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সাভার মডেল থানায় নাশকতার মামলায় সাভারের শ্যামপুর গোয়ালপাড়া এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে বাবুল আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
অন্যদিকে, ধামরাইয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে নাশকতার মামলায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ। এরআগে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোমভাগ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাউটিয়া গ্রামের এইচএম রুস্তম, সূতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাফিজ, গাগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি কাওয়ালীপাড়া গ্রামের দলিল লেখক আনিসুর রহমান, একই ইউনিয়নের জালসা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মফিকুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা ও চন্দ্রাইলের নূরুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। এর আগে গত বুধবার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪০-৫০ জন অজ্ঞাত বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ধামরাই থানায় মামলা করে পুলিশ।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় ও সরকারবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।