প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ
সাভারে শিশু অপহরণ, প্রতিবেশী নারীসহ দুজন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে পাঁচ মাসের শিশু আব্দুস সামাদ অপহরণের ঘটনায় প্রতিবেশী নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার একদিন পরও অপহৃত শিশু উদ্ধার হয়নি।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তার দুজনকে সাভার মডেল থানা থেকে আদালতে পাঠানো হলে তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর আগে ভোর রাতে সাভারের মালঞ্চ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে শারমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কৌশলে নারায়ণগঞ্জ থেকে ডেকে এনে সাভারে গ্রেপ্তার করা হয় আবদুল্লাহ নামে আরেক অভিযুক্তকে।
গ্রেপ্তার শারমিন আক্তার রাজশাহীর বোয়ালীয়া থানাধীন হোসেনীগঞ্জ এলাকার মৃত শাহিন কবিরের মেয়ে। তিনি ও ভুক্তভোগী বর্তমানে সাভারের একই বাসার ভাড়াটিয়া। অপর গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ মামলার প্রধান ও পলাতক আসামি তারমিন আক্তার মিমের পূর্ব পরিচিত ও সহযোগী।
অপহরণের শিকার শিশু আব্দুস সালাম কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানাধীন রাধানগর গ্রামের মুন্নাফ খানের ছেলে। বর্তমানে সাভার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড মালঞ্চ এলাকায় বাবা-মা ও নানির সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকত। শিশুর বাবা টেইলার্স ব্যবসায়ী এবং মা পোশাক শ্রমিক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে শিশুটিকে তার নানির কাছে রেখে বাবা-মা কাজে বের হয়ে যায়। বেলা ১২টার দিকে শিশুর নানি প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া শারমিন আক্তার ও তারামিন আক্তার মিমের কাছে রেখে গোসল করতে যায়। গোসল থেকে বের হয়ে দেখতে পান শিশুসহ তারমিন আক্তার মিম পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শারমিন আক্তার ও তারামিন আক্তার মিমসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। শারমিন ও তারামিন একসঙ্গেই থাকত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক আব্দুর রহিম রাজু জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার এজাহার নামীয় আসামি শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্যে পলাতক প্রধান আসামি তারমিন আক্তার মিমের কথিত প্রেমিক আবদুল্লা নামে আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা এই চক্রটি শিশু চুরি করে বিক্রি করাই তাদের কাজ।
এ ঘটনায় অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারসহ পলাতক প্রধান আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার অভিযান চলছে বলেও জানায় পুলিশ।