সাভারস্থানীয় সংবাদ
সাভারে ভোটের প্রচারণায় বাঁধা দেয়ার অভিযোগ
নাহিদ হাসান, সাভারঃ আসন্ন ইউপি নির্বাচন উপলক্ষ্যে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নে ইউপি সদস্য প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব কে প্রচারণা ও গণসংযোগে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিপক্ষ মাসুদ রানার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে পাথালিয়ার ২ নং ওয়ার্ডের পূর্ব ধনিয়া এলাকায় ভোটারদের মাঝে গণসংযোগ করার সময় হাবিবুর রহমান হাবিব বাঁধার সম্মুখীন হন।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমি আমার কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের মাঝে গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। তখন একই ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ মাসুদ রানার ভাই আলমাস দেওয়ান আমি যাদের সাথে কথা বলছি তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। এমনকি এক নারী ভোটারের কাছে ভোট চাইতে গেলে আলমাস দেওয়ান সেই ভোটারের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় এভাবে পাশেপাশে ঘুরঘুর করলে আমাদের প্রচারণায় সমস্যা হয়। অন্য প্রার্থীর লোকজনের সামনে ভোটারদের সাথে আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারিনা। এমনকি ভোটাররাও আমাদের সাথে কথা বলতে ইতস্তত বোধ করে। এভাবে আমাকে বাধাঁ দিলে আমি কিভাবে প্রচারণা করবো? তারা তাদের ফুটবল মার্কার হ্যান্ডবিলের পেছনে মোবাইল নাম্বার ও টাকার পরিমাণ দিয়ে বিলি করে বেড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সকালে চাকলগ্রাম গাইনপাড়া এলাকায় মাসুদ রানার কর্মী সাহাজ উদ্দিন ভোটারদের টাকা প্রদান করার সময় আমরা হাতেনাতে ধরি। তখন স্থানীয় মুরুব্বীরা সমঝোতা করে দেয়ায় এ বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ দাখিল করেছিলাম না। তাকে মুরুব্বীদের পরামর্শে মাফ করে দেয়া হয়। আমি নিজেও আশুলিয়া থানায় এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অবগত করে রাখি। কিন্তু পরে সাইজ উদ্দিন উলটো ভুল তথ্য প্রদান করে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
মাসুদ রানার বিরুদ্ধে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো ও টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার ব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে পাথালিয়া ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন হাবিবুর রহমান হাবিব।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাসুদ রানা বলেন, টাকা দেয়ার ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। তারা টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করতেছে। তাই শুনে লোক লাগিয়ে দিয়েছিলাম তাদের পেছনে যে তারা কি করে দেখার জন্য। আর আমার ফুপা সাহাজ উদ্দিনকে তারাই আটকে রেখে মারধোর করেছে। তারা নিজেরাই টাকা দিয়ে নাটক সাজিয়েছে। আমার লিফলেটে কে কি লিখেছে তা তো আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখব। আমাদের কাছে কোন প্রমাণ দেয়নি। প্রমাণ দিলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।