⤖끞귆ᩲ筲ꤗ鎆㳇槸稼ṩ䞚鄾쿱飮㹏麆멬廊흲㪝康ꦭꍥ帇₟鿞暢鞥拱樌⇗সাভারে বন্যার পানি কমলেও, বেড়েছে দুর্ভোগ | ঢাকা অর্থনীতি
প্রধান শিরোনামবিশেষ প্রতিবেদনসাভারস্থানীয় সংবাদ

সাভারে বন্যার পানি কমলেও, বেড়েছে দুর্ভোগ

শম্পা জামান, নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে তুরাগ ওবংশী নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে এলেও দূর্ভোগ কমেনি সাধারন, অসহায়, খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নানা পানিবাহিত রোগ।

এমতাবস্থায় উপজেলার আশুলিয়ার বাইপাইল পশ্চিম পাড়ার মানুষদের দূর্ভোগ যেন আরও একধাপ এগিয়ে। ঘরে এক কোমর সমান পানি নিয়েও বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। কারো কারো আবার এক চৌকির উপর অন্য চৌকি দিয়েও থাকতে দেখা গেছে। কেউ বা আবার বাসার ছাদকে বড় পলিথিন বা ত্রীপলের সাহায্যে নিজের এবং সেই সাথে গবাদিপশুর আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করছে। কিন্তু এতেও ভোগান্তি কমছেনা অত্র এলাকার সাধারন মানুষদের।

আশেপাশের কল-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ ও রাসায়নিক কেমিক্যাল মিশে পানিকে করে তুলেছে দূষিত ও কালো। এই দূষিত ও কালো নোংরা পানি মাড়িয়েই কর্মস্থলে পৌছাতে হচ্ছে শ্রমজীবী এবং দিনমজুর মানুষদের। যাদের কিনা একদিন কাজের না গেলে খাবার জোটে না। এই দূষিত পানি পান এবং চলাচল করার ফলে ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে ডাইরিয়া, চর্ম এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে  ভোগান্তির যেন শেষ নেই। একে তো মহামারী করোনা তার উপর বন্যা এবং পানিবাহিত রোগ যুক্ত হয়ে সাধারন মানুষের জীবনকে করে তুলেছে কষ্টকর ও দুর্বিষহ।

ছবি: নিজের সঙ্গে ঠাঁই দিয়েছেন গবাদিপশু

বাইপাইল পশ্চিম পাড়ার শওকত হোসেন বলেন, তাদের বাসার পানির পাইপ লাইনের সাথে এই কালো নোংরা পানি প্রবেশ করে খাবার পানিকে দূষিত করে তুলেছে। পানিতে নোংরার গন্ধ এবং আবর্জনা প্রবেশের কারনে বাসার মানুষদের ডাইরিয়া হচ্ছে।

মনিকা বেগম নামক পোশাক শ্রমিককে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে ” নোংরা পানি মাড়িয়ে কর্মস্থলে যেতে তাদের ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে।”

নাজমা বেগম নামে পোশাক শ্রমিক  দুর্যোগে যাতায়াত সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ” তুলনামুলক অধিক ভাড়া দিয়ে নৌকা বা ভেলার মাধ্যমে তাদের কর্মস্থলে পৌছাতে হচ্ছে। কখনো কখনো নৌকা বা ভেলা পেতে দেরি হলে কর্মস্থলে পৌছাতে বিলম্ব হয় বলেও জানান।

আর  এমন অসাহায়ত্বের চিত্র উপজেলার প্রায় ইউনিয়নে।  এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম শামীম আরা নিপার সাথে কথা বললে তিনি বলেন ” উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ পরিবার পানি বন্দি হয়ে আছেন। এই মুহূর্তে, আমরা সরকার কর্তৃক প্রায় বিশ মেট্রিক টন চাল এবং পঞ্চাশ হাজার টাকার গো’খাদ্য ত্রান হিসেবে পেয়েছি। এবং ক্ষতির পরিমান অনুযায়ী আমরা এই ত্রান বন্টনের ব্যবস্থা করছি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close