প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ

সাভারে নির্মাণাধীন ট্যাংকে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কেউ দিনমজুর হিসেবে ভাড়া নেবে এই আশাতেই প্রতিদিন সকালে হেমায়েতপুর বাস-স্ট্যান্ডে দাঁড়ায় অনেক শ্রমিক। সেখান থেকে মিস্ত্রিদের ঠিকাদাররা/ মালিকপক্ষ ভাড়া করে নিয়ে যায় দিনমজুর হিসাবে। আজ সকালেও এভাবেই দিনমজুর হিসেবে এক শ্রমিক নিজেকে ভাড়া দেয়ার জন্য জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে। কিন্তু আজ কাজে গিয়ে আর ফেরা হলো না ঘরে।

সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর আর এ এন ট্যানারি। এখানেই নতুন পানি সংরক্ষিত রাখার ট্যাংক এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। টাংকির ছাদের সেন্টারিং এর বাঁশ কাঠ খোলা হয়নি এখনো। প্রায় ১৪-১৫ দিন আগে ছাদ ঢালাই দিয়ে ট্যাংকের মুখ আটকে রেখে গিয়েছিল রাজমিস্ত্রিরা। দীর্ঘদিন ধরে ট্যাংকের মুখ আটকে থাকায় ভিতরে তৈরি হয়েছিল মিথেন গ্যাস। ভাড়া করে আনা নাম-না-জানা শ্রমিকটি ট্যাংকের ভেতর নামলেন সবার আগে। নেমে আর কোন সাড়াশব্দ নেই। সাড়া না পেয়ে নামলেন আরেক শ্রমিক বাপ্পি। নামার সাথে সাথে তার অবস্থাও গুরুতর।

ততক্ষণে আশপাশের কারোরই বুঝতে বাকি রইলোনা কি ঘটছে ট্যাংকের ভিতরে। দ্রুত তারা খবর দিলে পুলিশকে। এল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সহায়তায় দ্রুত উঠিয়ে আনা হলো দুইজনকে। যে আগে নেমেছিল সে ততক্ষণে মৃত। বাপ্পিকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানেই তার মৃত্যু নিশ্চিত করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহত বাপ্পি (২৮) বগুড়া জেলার সান্তাহার তারাপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।

সাভার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ এমারৎ হোসেন ঢাকা অর্থনীতিকে বলেন, খবর পেয়ে দুইজন রাজমিস্ত্রিকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুজন মারা গেলেও একজনের পরিচয় আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি। প্রাথমিকভাবে টাংকে থাকা মিথেন গ্যাসের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close