প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ

সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ মারধরের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে শিল্প পুলিশের দুই সদস্যকে মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাভার মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত বালু শ্রমিক জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।

মঙ্গলবার(০২ নভেম্বর) গ্রেফতারকৃত আসামী জুয়েল (২৬)কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। আজকে সকালে আহত শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেফতারকৃত জুয়েল মিয়া পিরোজপুরের জেলার নেছারাবাদ থানার জিলবাড়ি গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে। এজাহারভুক্ত বাকি আসামীরা হল, জুয়েলের ভাই রুবেল(৩০), কালাম মিয়া(২০), মোহাম্মদ আলী(৩৫), বাবুর্চী ইলিয়াস মিয়া(৩৫), কবির(২৫), সজল(২৪), তোতা(৩৫), ফয়সাল(৩০), লোকমান(৩৫), লালটু মিয়া(৪৫)। তারা সকলে বিরুলিয়া এলাকার লাল্টু মিয়ার বালুর ড্রেজারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।

এজাহারে জানা যায়, সোমবার বিকেলে সাভারের পঞ্চবটির বিরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হানিফের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানি হানিফের সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু করে অভিযুক্ত বালু শ্রমিকরা। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিতর্ক থামানোর চেষ্টা করে উপস্থিত শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর দুইজন কনস্টেবল। পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে থাকায় তারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করে। পরিচয় জানতে পেরেও বালু শ্রমিকরা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে । দোকানের পাশে থাকা বাঁশের ও কাঠের লাঠি দিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন বালু শ্রমিক পুলিশ সদস্যদের মারধর করে। এসময় গ্রেফতারকৃত জুয়েলের লাঠির আঘাতে পুলিশ সদস্য নূর হোসেনের মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন আহত অপর পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সৌরভ কুমার।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, খবর করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। রাতে অভিযান চালিয়ে মূল আসামী জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close