প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ
সাভারে ঝালমুড়িওয়ালার কবিরাজি, পানি পড়া খেয়ে ২ হকারের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারে কাউন্দিয়ায় কবিরাজের পানি পড়া খেয়ে ২ হকারের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ২ জন। তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল ওহাব কবিরাজ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু হয়। নিহত জাকির হোসেন (৫০) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার মৃত আবদুর রহামনের ছেলে। অপরজন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার রাথা গ্রামের মো. শাসসুদ্দিনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম মোল্লা (৩৫)। তারা বর্তমানে রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। চিকিৎধীন অপর দুইজন হলেন রিয়াদ ও রফিকুল ইসলাম। নিহত ও আহতরা সবাই হকার ছিলেন। কেউ শরবত, ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন।
আটক আবদুল ওহাব কবিরাজ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার আগলাপাড়া গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে। বর্তমানে সাভার কাউন্দিয়ার ছয়ভাই গ্রামের বাসিন্ধা। সে নিজেও ঝালমুড়ি বিক্রি করে। পাশাপাশি কথিত কবিরাজ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহাবাগ থানার ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই খান জানান, শনিবার রাতে প্রায় ৩ টার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চার ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে হয়। এরমধ্যে জাকির হোসেন ও রাশেদুলকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এসময় সন্দেহে হলে তাদের সঙ্গে থাকা ওহাবসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, ওহাবের তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে আমরা রাজধানীর শাহাআলী থানায় যোগাযোগ করি। পরে জানতে পারি বিষয়টি সাভার মডেল থানাধীন। তাই শাহবাগ থানার মাধ্যমে সাভার মডেল থানা হস্তান্তর করা হয়।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকারিয়া হোসাইন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওহাব কবিরাজকে আটক করা হয়েছে। বাকী দুইজন ছিলেন এম্বুলেন্সের চালক ও সহকারী। তাদের মুলত ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে নেয়া হয়েছিলো হাসপাতালে নেয়ার জন্য। তাই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ওহাব প্রায় ১৫ বছরে কবিরাজির নামে প্রতারণা করে আসছিলো বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। এছাড়া নিহত ও অসুস্থ ব্যক্তিরা কথিত কবিরাজ ওহাবের পূর্ব পরিচিত। তারা বিভিন্ন সময় নানা সমস্যার জন্য দাওয়া বা হালুয়া নিয়েছিলো। পরে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর আটক ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।