প্রধান শিরোনামসাভার
সাভারে কানের দুলের লোভে শিশুকে হত্যা, প্রতিবেশী দম্পতি আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে ধারের টাকা পরিশোধের জন্য পাওনাদারের ৭ বছরের মেয়ে শিশুকে হত্যা করে কানের দুল বিক্রি করে দিয়েছে প্রতিবেশী দম্পতি। এই ঘটনায় ওই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে সাভারের হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ি এলাকার হাজী জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন পাঁচতলা বাড়ি থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাফিজা হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকার গোল্ডেন বাংলা স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবার নাম হাবিবুল্লাহ নিপু। আটককৃতরা হলেন- সোনালী বেগম ও তার স্বামী মোকসেদুল ইসলাম। সোনালীর বাবার বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি বলে জানা গেছে। তারা সবাই সাভারের জয়নাবাড়ী এলাকার হাজী জাহাঙ্গীরের পাঁচতলা বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এনামুল হক জানান, গতকাল ওই শিশু নিখোঁজ হলে সন্ধান চেয়ে চারপাশে মাইকিং করে শিশুর স্বজনরা। কাল থেকে কোন খোঁজখবর না পাওয়ায় আজ সাভার মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তারা। পরে এক ভাড়াটিয়া সবার ঘর তল্লাশি করার কথা বললে আটককৃতের ঘরের খাটের নিচ থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী মরদেহ পাওয়া যায়।
আটক দম্পতি বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, মূলত মাস খানেক আগে নিহত শিশুর মায়ের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ধার নেয় অভিযুক্ত দম্পতি। সেই পাওনা টাকা পরিশোধ করতে ওই দম্পতি শিশুর কানের দুল নিতে তাকে কৌশলে তাদের ঘরে নিয়ে যায়। শিশুটি চিৎকার করায় তার মুখ চেপে ধরলে সে অজ্ঞান হয়ে পরে। পরবর্তীতে শিশুটিকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। প্রথমে শিশুর নিথর দেহ ফ্রিজে রেখে দেয়, পরে বস্তাবন্দি করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। ইতিমধ্যে শিশুর কানের দুল বিক্রি করে দিয়েছে হত্যাকারী দম্পতি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা অপরাধ স্বীকার করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।