প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ

সাভারের কিশোর গ্যাং এর হামলার শিকার জয়ের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত জয় হালদার (১৮) এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার (০৭ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক সাদরুজ্জামান।

এর আগে গত ১৬ মে রাতে সাভারের রাজাশনের পলুর মার্কেট এলাকায় তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে কিশোর গ্যাং লিডার সওদাগর ও তার বাহিনী। ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাভারের কমলাপুর রাজারবাগ গ্রামের জমশের মিয়ার ছেলে মো.আরিফ মিয়া (২০), মধ্য রাজাশনের আলমগীরের ছেলে মো. জয় (১৮), ভোলার ইলিশা থানার তালুকদার হাট গ্রামের সেলিমের ছেলে আকাশ (১৯), সাভারের রাজাশনের সাদ্দাম (৩০), মধ্য রাজাশনের শাজাহানের ছেলে তানভীর (১৮)। এ ছাড়া মজিবরের ছেলে সওদাগর (৩০), আনোয়ারের ছেলে নয়ন (২২), মজিবুরের ছেলে সাকিব (২০) ও সোহাগ (১৯)। তারা সবাই সাভারের রাজারবাগ এলাকার কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে তারা জামিনে বের হয়ে আসেন।

জয় হালদার গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া থানার জন হালদারের ছেলে। তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে সাভারের রাজাশনের পলুর মার্কেট এলাকায় ভাড়া থেকে সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে সাভারের রাজাশনের পলুর মার্কেট এলাকার ফাঁকা রাস্তায় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওৎ পেতে থাকে আসামিরা। জয় হালদারকে একা পেয়ে রড, পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে কিশোর গ্যাং লিডার সওদাগর ও তার বাহিনী।

পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। জয় হালদারকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার ভাইকে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ দিন পর তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদরুজ্জামান বলেন, মামলা দায়েরের দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে তারা জামিনে বের হয়ে আসে। আমরা বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close