বিশ্বজুড়ে

সাপের কামড়ে বিশ্বে বছরে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বিষধর সাপের কামড়ে পৃথিবীতে প্রতিবছর কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। এর বাইরে চার লাখ লোক প্রতিবন্ধিত্ব বরণ করেন সাপের কামড়ে।
আর চিকিৎসা ও অ্যান্টি-ভেনমের অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই বেশি।

সাপের কামড়ে মৃত্যু ও প্রতিবন্ধিত্ব কমিয়ে আনতে ২০৩০ পর্যন্ত মেয়াদে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ডাব্লিউএইচও। ‘‘পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, অ্যান্টি-ভেনম ও আনুষঙ্গিক চিকিৎসায় মানুষের জন্য নিরাপদ, কার্যকর ও সহজলভ্য অভিগম্যতা নিশ্চিত করা৷ এতে অ্যান্টি-ভেনম উৎপাদন ও সরবরাহকে প্রাধান্য দেওয়া হবে,’’ বলা হয়েছে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে।

সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যার হিসাব না রাখায় এ ধরনের মৃত্যুর সঠিক হিসাব জানা এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয় না বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ কারণ, হাসপাতালের বাইরে যাঁরা মারা যান, তাঁদের হিসাব পাওয়া দুরুহ।

সাপের ছোবলের কারণে মৃত্যুর সংখ্যার ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যায় ভারতের একটি গবেষণা থেকে। ওই গবেষণায় বেরিয়ে আসে, ২০০৫ সালে ভারতে সাপের কামড়ে ৪৫,৯০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আর এই সংখ্যাটি ছিল সরকারি হিসাবের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি।

সাপের কামড়ে এভাবে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু সম্পর্কে একবার জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কোফি আনান বলেছিলেন, ‘‘এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সংকট, যা আপনি কখনো শুনবেন ন।’’

উন্নত দেশে সাপের দংশনে মৃতের সংখ্যা দেখলে তাঁর এই বক্তব্যের প্রমাণ পাওয়া যায়৷ কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মাত্র ৫ জন লোক মারা যান সাপের কামড়ে। আর পশ্চিমা অনেক দেশে সাপের কামড়ে মৃত্যুর বিষয়টি কল্পকাহিনীর মতোই।

এদিকে, বিষধর সাপের এলাকায় অ্যান্টি-ভেনম উৎপাদনের ব্যবস্থা না থাকায় তাদেরকে সেটার জন্য পশ্চিমা দেশের মুখাপেক্ষী হতে হয়৷ আর দাম বেশি হওয়ায় ওষুধ থাকে মানুষের আওতার বাইরে৷ এটাকে সাপের কামড়ে মৃত্যু বাড়ার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে ‘ডক্টর উইদাউট বর্ডার্স’৷

আবার দুর্গম ও দুরবর্তী এলাকার মানুষ খুব দ্রুত হাসপাতালে যেতে পারেন না, যা সাপেড় কামড়ের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন৷ এ কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। (ডয়েচভেলে)

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close