দেশজুড়েশিক্ষা-সাহিত্য
সাতক্ষীরায় এনসিটিবির অনুমোদনহীন বই বিক্রি!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সাতক্ষীরায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অনুমোদনহীন বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এসব বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হচ্ছে। এসব বই বাজারজাত ও বিক্রি বন্ধে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন। অনুমোদিত বই ছাড়া অন্য কোনো বই যেন পাঠ্যসূচিতে না আসে সেই বিষয়ে চলছে তদারকি।
এনসিটিবি বহির্ভূত বইগুলো কিনতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে অভিযোগ জানিয়ে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা।
এসব বইয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে দেয়া হয়েছে ভুল তথ্য যা নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করে। এ কারণে পাঠ্যসূচিতে যেন বইগুলো অন্তর্ভূক্ত করা না হয় বিষয়টি তদারকিতে রেখেছে জেলা প্রশাসন। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সহায়ক বই নয়, প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের জন্য পাঠ্যবই নির্ভর হতে হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
সাতক্ষীরা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মানহীন এসব বইগুলোতে স্বাধীনতার ইতিহাস, বিজয় দিবসের ইতিহাস, এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি।’ এমনকি, বইগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোযোগী হয় তাহলে আর অন্য কোনো সহায়ক বইয়ের প্রয়োজন হয়না।’
এদিকে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা লাইব্রেরিতে যেন এসব বই না থাকে সেই বিষয়েও নজরদারি চলছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এসব বিষয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যেন এনসিটিবির অনুমোদনহীন বই বিক্রি করা না হয় এবং কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুঁজে না পাওয়া যায়।’
২০১৮ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন সংসদে পাস হয়। এতে উল্লেখ আছে অনুমোদনহীন কোনো বই বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত না করা ও মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান ভুল প্রতিবেদন দিলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড দেয়ার কথা। তবে, এই আইনটি মানছেনা সাতক্ষীরার কিছু শিক্ষক ও প্রকাশক। এনসিটিবির অনুমোদনহীন সহায়ক বই বাজারে এনে সেগুলো কিনতে শিক্ষার্থীদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।