ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মধ্যরাতে টাস্কফোর্স অভিযানের নামে কাউকে তুলে নিয়ে মোবাইল কোর্টে তার শাস্তি দেওয়া যায় কীভাবে, তার আইনি ব্যাখ্যা দিতে পারেননি কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীন। তিনি বলেন, ‘আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে গ্যাপ থাকলে দেখা হবে।’
বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘টাস্কফোর্সের অভিযান ছিল। এটা ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালনা করেছে রেগুলার শিডিউলের অধীনে। সঙ্গে মাদকদ্রব্য অধিদফতরের লোক, পুলিশ, আনসার ছিল।’
টাস্কফোর্সের অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্ট আইনে সাজা দেওয়া ঠিক আছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আইনের মধ্যে হয়েছে। তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে আপিল করবে, দেখবো আমরা।’
একটি পুকুর নিজের নামে নামকরণ করা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তো এক বছর আগের ঘটনা। আর রিপোর্টটিও মিথ্যা। এরকম কিছু হলে তো তখনই হতো। আর এই রিপোর্টের জন্য তো সে স্যরি বলেছে। আমরা ভিনডিকটিভ (প্রতিহিংসাপরায়ণ) না।’
আরও পড়ুনঃ
সাংবাদিক আরিফকে সাজা দেয়ায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রিপরিষদ, তদন্তের নির্দেশ
মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুলকে তুলে নিয়ে গেলো “ডিসি’র” মোবাইল কোর্ট
‘ডিসি অফিসে নিয়ে আরিফকে চোখ বেঁধে উলঙ্গ করে পেটানো হয়’
জোর করে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিতে পারেন না: অ্যাটর্নি জেনারেল
‘রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতে পারেন না মোবাইল কোর্ট’
/আরএম