দেশজুড়ে
সরকার একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে : ফখরুল
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম বন্ধ করতে সরকার ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার বিরোধী দলের ১৩৫০টি মামলা নিয়ে মাঠে নেমেছে। নির্বাচনের আগে এই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে কিভাবে বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো যায়, তা ভাবছে সরকার। যাতে নির্বাচনে প্রতিপক্ষ ছাড়া খালি মাঠে গোল দেওয়া যায়।
বুধবার (৩১ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে সরকার। মাঠে একাই খেলবেন এবং গোল দেবেন। এখনো সময় আছে, এসব খেলাধুলা বাদ দেন।
ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছে। অত্যন্ত ক্ষোভ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, যে মামলা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে, পুনরায় শুনানি করে সে মামলায় রাজনৈতিক নেতাদের সাজা দেওয়া হলো। মৃত্যু ঘনিয়ে আসার আগে যখন কোনো আশা থাকে না তখন কোনো কিছু আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা। সরকার হামলা-মামলা দিয়ে সে চেষ্টাই করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে সাজা দেওয়া হয়েছে তা হাইকোর্ট থেকে আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। একইভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী জেবায়দা রহমানের ২০০৭ সালের মামলাগুলো চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে। এ নিয়ে কোর্টে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কথা বলতে চাইলে তাদের ওপর সরকারি দলের আইনজীবীরা হামলা করে।
তিনি বলেন, এই দানবীয় সরকারকে সরানোর যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা হামলা-মামলা দিয়ে দমানো যাবে না।
আমাদের কর্মসূচিতে আগ বাড়িয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। কেরানীগঞ্জে আমাদের নিপুণ রায়কে মেরে আহত করা হলো, অথচ তাকেই মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।