দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামস্বাস্থ্য
সরকারের কাছে কিট হস্তান্তর করল গণস্বাস্থ্য, করোনা নির্ণয়ে শতভাগ সফল
গবি প্রতিনিধিঃ মাত্র ১৫ মিনিটেই করোনা রোগী সনাক্ত করা সম্ভব এমন সাড়া জাগানো করোনা সনাক্তকরণ কিট তৈরী করে অবশেষে বাংলাদেশ সরকারের নিকট হস্তান্তর করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
শনিবার(২৫ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও কিট তৈরীর গবেষক দলের প্রধান ডা. বিজন কুমার শীল, কিট হস্তান্তরে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. বিজন কুমার শীল বলেন, পৃথিবীর কোন দেশই এককভাবে কোন রোগকে শতভাগ সনাক্ত করতে পারেনা এজন্য আমরা করোনা সনাক্ত করণে দুই ধরনের কিট তৈরী করেছি। এর একটি এন্টিজেন ডিটেকশন এবং অন্যটি এন্টিবডি ডিটেকশন। এর ফলে দুটো কিটের সমন্বয়ে আমরা শতভাগ রোগী সনাক্তকরণ কিট পেয়েছি এটা আমাদের জন্য বিশাল বড় অর্জন। কাল থেকে আমরা উৎপাদনে যাবো এবং প্রতিদিন ১০ হাজার করে কিট হস্তান্তর করবো।
এর আগে, ১৭ মার্চ দ্রুত গতিতে কাজ করবে এমন পদ্ধতির র্যাপিড ডট ব্লট কিট উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিট উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিয়েছেন গবি অধ্যাপক ডা.বিজন কুমার শীল। গবেষক দলের অন্যদের মাঝে ছিলেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ ও সিঙ্গাপুরের একজন গবেষক।
কিট উদ্ভাবনের খবর প্রকাশ হওয়ার দুইদিন পরে ১৯ মার্চ কিট তৈরীর অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সরকার। ৫ই এপ্রিল চীন থেকে কিট তৈরির কাঁচামাল আমদানি করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এরপরে কিট হস্তান্তর করার জন্য তিন দফা তারিখ দেওয়ার পরও বিদ্যুতিক গোলযোগ, কাঁচামালের অভাব সহ বিভিন্ন সমস্যায় হস্তান্তর সম্ভব হয়নি।
নিজের প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কিট নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের কিট শতভাগ সফল। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমদের তৈরী কিট অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। করোনা মহামারী মোকাবেলা করতে এই কিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের কিট শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতেও সাপ্লাই দেওয়া হবে এটা আমাদের জন্য বিশাল বড় সুখবর। আমাদের সক্ষমতা আরে বাড়ানো হবে।আপাতত আমরা প্রাথমিক অবস্থায় কাল থেকে ১০ হাজার কিট উৎপাদন শুরু করবো।
/আরএম