দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
সরকারি ওয়েবসাইট নকল করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে ভুয়া নিয়োগের প্রতারণা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ জাতীয় তথ্য বাতায়নের (পোর্টাল) আওতাধীন ওয়েবসাইটের আদলে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে এর মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থার ভুয়া নিয়োগপত্র ইস্যু করে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে একটি প্রতারক চক্র।
নকল ওয়েবসাইটটির ডোমেইনে নামের বানান ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটের নামের বানানের সঙ্গে কিছুটা মিল থাকলেও সেটি ভিন্ন। ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকৃত ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস (www.latc.gov.bd) অন্যদিকে ভুয়া ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস (www.latcgovbd.com).
ভুয়া ওয়েবসাইটের সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন ‘latcgovbd’ এবং টপ লেভেল ডোমেইন ‘.com’ অন্যদিকে ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকৃত ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেসের সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন ‘latc’ এবং টপ লেভেল ডোমেইন ‘.gov.bd’ যা কেবল বাংলাদেশ সরকারের জন্য সংরক্ষিত।
এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, আজ রোববার ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এলএটিসি) ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. রুহুল আমিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন যে, কে বা কারা তাকে ফোন করে জানায় তিনিসহ আরো তিনজনের নামে ‘www.latcgovbd.com’ ওয়েবসাইটে নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পরে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানা যায়, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এলএটিসি) ওয়েবসাইটের আদলে নকল সাইট তৈরি করেছে একটি প্রতারক চক্র। এলএটিসির প্রকৃত ওয়েবসাইট (www.latc.gov.bd) নকল করে ভুয়া একটি ওয়েবসাইট (www.latcgovbd.com) তৈরি করে মো. রুহুল আমিন সহ আরো তিনজন কথিত ব্যক্তি– মো. রায়হান রহমান, মো. আব্দুস সালাম ও মো. আরিফুল ইসলামের নামে গত ২১ জুন ভুয়া নিয়োগপত্র ইস্যু করেছে প্রতারক চক্র।
প্রকৃতপক্ষে এলএটিসি থেকে মো. রায়হান রহমান, মো. আব্দুস সালাম ও মো. আরিফুল ইসলামের নামে ধরনের কোনো নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়নি। এই নিয়োগপত্রটি ভুয়া। ভুয়া সরকারি ওয়েবসাইট তৈরি, স্বাক্ষর জাল করা ও ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করা একটি গুরুতর ও দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আপাতদৃষ্টে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ভুয়া ওয়েবসাইট সৃষ্টিকারীরা এলএটিসির আসল ওয়েবসাইট থেকে উক্ত স্মারক ও নিয়োগপত্র সংগ্রহ করে এর একাংশ স্ক্যান করে ব্যবহার করেছে। আরো প্রতীয়মান হচ্ছে যে প্রতারক চক্র প্রকৃত নিয়োগপ্রাপ্ত মো. রুহুল আমিনসহ উপর্যুক্ত তিন ব্যক্তি (যদি নামও ভুয়া না হয়ে থাকে) থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছিলো কিংবা করছে। এলএটিসি ওয়েবসাইটের মূল পোর্টাল ডেভেলপার এটুআই-কে ই-মেইল এর মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিটিসিএলকে চিঠি দিয়ে ভুয়া সরকারি ওয়েবসাইট সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাদের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া নিউ মার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান আরো বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় কিংবা এর আওতাধীন দফতর বা সংস্থায় চাকরি প্রদানের নাম করে কেউ যদি অর্থ দাবি করে তাহলে তৎক্ষণাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ভুয়া নিয়োগে বিভ্রান্ত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।
/এন এইচ