কৃষিপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য
সরকারকে চাল দেবেনা চালকল মালিকেরা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বাজারে ধানের মূল্যের সঙ্গে চালের মূল্য সামঞ্জস্য করতে হবে। ধানের সঙ্গে চালের বাজারমূল্য সমন্বয় করে দিলে তবেই সরকারের ঘরে চাল সরবরাহ করা হবে। ধানের বাজারে দাম ভালো। কিন্তু সরকার নির্ধারিত ৩৭ টাকা মূল্যে চাল সরবরাহ করব না। এজন্য কোনো চালকল মিল মালিক সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে যাবে না। সরকারকে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনে লাভ না হলেও বর্তমান বাজার অনুযায়ী চালের দাম দিতে হবে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া শহরের একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভায় এসব কথা বলেন চালকল মালিকরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ।
উল্লেখ্য, চলতি আমন মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৭ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমন মৌসুমে দুই লাখ টন ধান, ছয় লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে সরকার। সব মিলিয়ে সাড়ে আট লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
কিন্তু এ দামে সরকারকে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয় জানিয়ে বক্তারা বলেন, গত ইরি মৌসুমে মিল মালিকরা লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ করেছেন। করোনাকালে চালকল মালিকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই এবার আর কোনোভাবেই ভর্তুকি বা লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ সম্ভব নয়। সরকারকে চাল দিতে চাই। লাভের প্রয়োজন নেই। গত বছর লোকসান করেছি। এবার লোকসান দিয়ে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে চাল দিতে পারব না। চালের মূল্য সরকারকে পুনরায় নির্ধারণ করে দিতে হবে। বর্তমানে ধানের দাম অনুসারে চালের মূল্য দিতে হবে ৪২-৪৪ টাকা কেজি। সেখানে ৩৭ টাকা কেজি দরে চাল দিলে মিল মালিকদের লোকসান গুনতে হবে।
/আরএম