আমদানি-রপ্তানীপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য
সমুদ্রের গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রেখে চুক্তি সময়োপযোগী: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সমুদ্রের গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রেখে, সংশোধন করা উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তিকে (পিএসসি) সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলছেন, আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোকে অনুসন্ধানে আগ্রহী করতেই, এই সিদ্ধান্ত সরকারের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে আমদানি বাড়িয়ে, অন্যদিকে রপ্তানির উদ্যোগ একেবারেই অযৌক্তিক।
সমুদ্রকে বলা হয় প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত আধার। কিন্তু, সেই সম্পদ অনুসন্ধান কিংবা আহরণে এক রকম ব্যর্থ বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে দেশের ভূখণ্ডের প্রায় সমপরিমাণ অংশে বঙ্গোপসাগরে মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পরও, সেটি কাজে লাগাতে নেয়া হয়নি তেমন কোনো উদ্যোগ।
সমুদ্রবক্ষের গভীর এবং অগভীর- এই দুই অংশকে ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে। কিন্তু, এ পর্যন্ত সেই ব্লকগুলোর মধ্যে মাত্র ৪টির ইজারা দেয়া গেছে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির কাছে। তাই, আইওসির কাছে ব্লকগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করতে সম্প্রতি সংশোধন করা হয়েছে উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি। যেখানে, বাড়ানো হয়েছে তাদের কাছ থেকে গ্যাসের কেনা দাম। রাখা হয়েছে, উৎপাদিত গ্যাস রপ্তানির সুযোগও। কিন্তু, কেন এই সিদ্ধান্ত?
দেশে বর্তমানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা কমবেশি সাড়ে তিনশ কোটি ঘনফুট। দেশীয় উৎস থেকে পুরোপুরি যোগান না আসায়, যা মেটাতে চড়া দামে আমদানি করতে হচ্ছে এলএনজি। এমনকি, ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে বড় নির্ভরতা রাখা হয়েছে, আমদানির ওপরই। এমন অবস্থায় দেশে গ্যাস পাওয়া গেলে, তা রপ্তানির সুযোগ দেয়ার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ বিশেষজ্ঞদের কাছে।
২০০৮ সালের চুক্তিতেও আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোর জন্য সুযোগ রাখা হয়েছিল রপ্তানির। কিন্তু, সমালোচনার মুখে সেটি বাদ দেয়া হয় ২০১২ সালের সংশোধনীতে।