প্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য
সবজির বাজারে স্বস্তি, মাছ-মাংস অপরিবর্তিত
![](https://www.dhakaorthoniti.com/wp-content/uploads/2020/10/prices-of-onion-and-vegetables-fall-amid-increased-supply-in-kitchen-markets-photo-mahmud-hossain-opu-1570554748194.jpg)
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রায় দুই মাস ধরে চড়া থাকার পর অবশেষে শাক-সবজির দাম ক্রেতাদের মনে স্বস্তি এনেছে। তবে মাছ, মাংস, চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া ডাল, চিনি ও ভোজ্যতেল আগের দামেই রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, উত্তরা, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার, খিলগাঁও বাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা এবং মগবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সবজির দাম কমা প্রসঙ্গে বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, তাই দাম কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে তদারকিমূলক অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাম কিছুটা কমিয়েছেন বিক্রেতারা।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতিকেজি ঝিঙা-ধন্দুল-চিচিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর টমেটো কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
তবে কাঁচামরিচ, করলা, উস্তা, পটলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর উস্তা ৯০ টাকা টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে তেলের বাজার আগের বাড়তি মূল্যেই রয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি ডাবলী ও অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা আর চিনি প্রতিকেজি ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া চালের বাজারও আগের মতোই চড়া। খুচরায় প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, পায়জাম ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৮ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ টাকা, পোলাও চাল (খোলা) ৯৫ থেকে ১০০ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা আর গরু মাংস ৫৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৬০০ টাকা কেজিদরে।
বাজারে আগের দামে ব্রয়লার ও লেয়ার বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রি কম হওয়ায় সোনালি মুরগির দাম প্রতিকেজিতে ২০ টাকা কমে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকায়। দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কৈ মাছ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কর্প ১০০ টাকা, মিররর কাপ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর প্রতিকেজি কাঁচকি ও মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, হরিণা চিংড়ি ৬০০ টাকা।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ ও আদার বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও দাম কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের। এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা, দেশি কিং পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। আমদানি করা মিশরের পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও চায়না পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। তবে রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
/এন এইচ