দেশজুড়ে
সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে বুলবুল
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ দ্রুতগতিতে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এটি আজ সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় আজ ভোর থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ-সাত ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সম্ভাব্য আঘাত সামনে রেখে গতকাল বিকালে সচিবালয়ে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রাখা হয়েছে। সাত জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় লোক সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় দুই হাজার প্যাকেট করে শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসায় সারা দেশে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
উপকূলীয় অঞ্চলে চলাচলকারী মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান নিরাপদ স্থানে নোঙর করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার পর ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে যায়নি কোনো ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান।
/আরএম