বিশ্বজুড়ে
সংকটময় মুহূর্তে চীনে বানানো হচ্ছে হাজার কোটি টাকার স্টেডিয়াম
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চীন থেকে উৎপন্ন হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। যা মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ সংকটময় মুহূর্তে সে দেশের ক্লাব গুয়াংজু এভারগ্রান্দে বানাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়াম বানাচ্ছে চীনের এ ক্লাবটি।
দেশটির সুপার লিগ চ্যাম্পিয়ন গুয়াংজু ১ লাখ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু করেছে। খরচ পড়বে প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি অর্থে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা)। গুয়াংজুর দাবি দেখতে ‘পদ্ম ফুল’-এর মতো এ স্টেডিয়াম হবে সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বার্সেলোনার ক্যাম্প ন্যু ধারণক্ষমতা বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। ৯৯ হাজার ৩৫৪ আসন আছে কাতালানদের এই স্টেডিয়ামে। চায়নিজ সুপার লিগের দল গুয়াংজু সে হিসেবে স্প্যানিশ বার্সেলোনাকে ছাড়িয়ে যেতে চাচ্ছে। এত দিন গুয়াংজুর স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ছিল ৬০ হাজার।
এভারগ্রান্দে রিয়াল এস্টেটের সভাপতি বলেন, ‘বিশ্বমানের এই স্থাপত্য সিডনির অপেরা হাউজ এবং দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার সঙ্গে তুল্য হবে। চীনের ফুটবল বিশ্বে যেভাবে বিকশিত হচ্ছে, এটি হবে তার গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন’।
ধারণক্ষমতা বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম ক্যাম্প ন্যু (৯৯,৩৫৪ আসন)। গুয়াংজুর এ ‘লোটাস স্টেডিয়াম’ ধারণক্ষমতায় ক্যাম্প ন্যু ছাড়িয়ে যাবে। গুয়াংজুকে অনেকে ‘ফুলের শহর’ বলে থাকেন। এই পরিচিতি মাথায় রেখেই পদ্ম ফুলের আদলে বানানো হচ্ছে স্টেডিয়ামটি।
আর সব স্টেডিয়ামের মতো প্রেস বক্স, খেলোয়াড়দের উন্নত ড্রেসিং রুম তো থাকবেই এখানে। সঙ্গে ভিভিআইপিদেরদের জন্য ব্যক্তিগত ১৬ টি কামরা আর ভিআইপিদের জন্য ১৫২টি কামরা বানানো হবে।
এশিয়া ও চীনের মধ্যে অন্যতম সফল ক্লাব গুয়াংজু। আটবার চায়নিজ সুপার লিগ জিতেছে দলটি। এ ছাড়াও চীনের একমাত্র ক্লাব হিসেবে দুবার জিতেছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।
/এন এইচ