বিনোদন
শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুই কাহিনিচিত্র
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
খবর হলো, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দুই কাহিনিচিত্র নিয়ে হাজির হচ্ছেন কবি, গীতিকার ও নাট্যকার সহিদ রাহমান। এই লেখকের ‘মহামানবের দেশে’ গল্প অবলম্বনে দুটি কাহিনিচিত্র নির্মিত হয়েছে। এই দু’টি কাহিনিচিত্রের নাম ‘সেদিন শ্রাবণের মেঘ ছিল’ ও ‘পঁচাত্তরের ডায়েরি’।
জানা গেছে, আজ ১৫ আগস্ট ‘সেদিন শ্রাবণের মেঘ ছিল’ কাহিনিচিত্রটি এটিএন বাংলায় সন্ধ্যা ৬টায় প্রচার হবে। আর ‘পঁচাত্তরের ডায়েরি’ কাহিনিচিত্রটি চ্যানেল আইয়ে রাত ৭টা ৪৫ মিনিট প্রচার হবে।
‘সেদিন শ্রাবণের মেঘ ছিল’ কাহিনিচিত্রটি পরিচালনা করেছেন রাজিবুল ইসলাম রাজিব। অভিনয় করেছেন- আজাদ আবুল কালাম, রওনক হাসান, হিমি ও মিজানুর রহমান।
এতে দেখা যাবে, বেতারে মেজর ডালিমের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর পরিবারসহ হত্যার ঘটনা শুনে চমকে ওঠে নোয়াখালীর এক গ্রামের স্কুল শিক্ষক। তিনি এর প্রতিবাদ করতে চান। তরুণ মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে বাসর রাতে বউকে ছেড়ে আসেন স্কুল শিক্ষকের ডাকে। তারা গ্রামের পথে মিছিল বের করে। স্থানীয় প্রশাসন তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটক করে। নির্মম শারীরিক নির্যাতনে নিহত হয় রুস্তম।
‘পঁচাত্তরের ডায়েরি’র পটভূমি ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধুর রাঙ্গামাটি জেলার বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করার ঘটনা। পথিমধ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সে খবর জানতে পেরে জনপ্রতিনিধি বেলায়েত বঙ্গবন্ধুকে সাবধান করে। তাই সে পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয় না।
কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা আবার পরিকল্পনা করে একই বছরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে পরিবারসহ হত্যা করে। এই কুপরিকল্পনা সফল হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করে। তারাও পুলিশের হাতে আটক হয় এবং নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়।
রাকেশ বসুর চিত্রনাট্যে এই কাহিনিচিত্রটি পরিচালনা করেছেন সুমন ধর। অভিনয় করেছেন-শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহাদাত হোসেন, মনোজ প্রামাণিক, তানিয়া বৃষ্টি, জাহাঙ্গীর আলম ও মাস্টার শাকিল।